শিরোনাম: |
ছাগলনাইয়ার সাবেক ওসিসহ ১১ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা
|
![]() ক্রসফায়ারে হত্যাচেষ্টা ও ইয়াবা দিয়ে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ এনে ছাগলনাইয়া থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এম মুর্শেদসহ ১১ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল হাসানের আদালতে মো. গিয়াস উদ্দিন দুলাল নামে এক ব্যক্তি এ মামলা করেন। এতে ১৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে ১১ জন পুলিশের কর্মকর্তা ও সদস্য।বাকি দুইজন পুলিশের সোর্স। মামলার বিবরণে জানা যায়, বাদী গিয়াস উদ্দিন দুলাল একজন পিকআপচালক। তিনি, গেলো বছরের ১৭ জানুয়ারি দুপুরে ফেনী সদরের কাজীরবাগে মাটি ক্যারিং করার সময় মাদক মামলার ভয় দেখিয়ে থানার আবুল হাসেম ও আবুল খায়ের নামে দুই সোর্সসহ পুলিশ সদস্যরা এসে তার কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এ সময় তিনি চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে বিকেলে তারা কাজীরবাগ থেকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে ছাগলনাইয়ার পাঠাননগর এলাকায় ব্রাদার্স ব্রিক ফিল্ডে নিয়ে যায়। সেখানে ওসি মোর্শেদ এসে চোখ বেঁধে পুনরায় পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। কিন্তু চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা ক্রসফায়ারের হুমকি দেয়। পরে খবর পেয়ে মা ও বোন এক লাখ টাকা দেবার কথা বললেও ওসি রাজি না হয়ে পুনরায় চোখ বেঁধে মাইক্রোবাসে করে একই উপজেলার শুভপুর ইউনিয়নের বল্লভপুর গ্রামের রাস্তায় মাথায় একটি নির্জন স্থানে নিয়ে ওসি মোর্শেদের নির্দেশে বেধড়ক পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়। একপর্যায় ওসি মোর্শেদ ঘটনাস্থলে সঙ্গে থাকা সুকান্ত বড়ুয়া নামে এক পুলিশ সদস্যের শটগান নিয়ে দুলালের ডান পায়ে তিন রাউন্ড গুলি করে। এরপর তারা লাথি মেরে মৃত্যু নিশ্চিত করার চেষ্টা করে। পরে অজ্ঞান হয়ে পড়লে মৃত্যু হয়েছে ভেবে তারা ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থা আশঙ্কজানক দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক চট্টগ্রাম মেডিকেলে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসকরা অস্ত্রোপচার করে ডান পা কেটে বাদ দেয়। পরে সাত দিন পুলিশের হেফাজতে চট্টগ্রাম মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফের তার বিরুদ্ধে ১৪শ’ পিস ইয়াবাসহ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মিথ্যা মামলা দায়ের করে কারাগারে পাঠায় তারা। গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘পঙ্গু হবার পর থেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মানবেতরভাবে জীবন-যাপন করছি।’ তিনি ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন। মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী গিয়াস উদ্দিন নান্নু জানান, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেয়ার জন্য আবেদন করেন। |