শুক্রবার, ২৯ মার্চ, 2০২4
এসিড মিশিয়ে ত্বক ফর্সাকারী ক্রিম বিক্রির অভিযোগে গ্রেফতার-২!
হাজারিকা অনলাইন ডেস্ক
Published : Monday, 18 January, 2021 at 5:00 PM

খোলাবাজার থেকে ভেসলিন ও বিভিন্ন ধরনের এসিড দিয়ে তৈরি করা হতো ত্বক ফর্সাকারী (স্কিন) ক্রিম। অনিরাপদ পরিবেশে অনুমোদহীন স্কিন ক্রিম তৈরির অভিযোগে বিপাশা কসমেটিকস এন্টারপ্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়েছে র‌্যাব। পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিএসটিআই থেকে লাইসেন্স না নিয়ে অবৈধভাবে লোগো ব্যবহার করে নকল পণ্য বাজারজাত করে আসছিল প্রতিষ্ঠানটি। নকল কসমেটিকস পণ্য তৈরি ও বাজারজাত করার অপরাধে কারখানার কারিগরসহ প্রতিষ্ঠানের দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। কারখানায় শিশু শ্রমিকদের দিয়ে পণ্য তৈরির কাজ করতেও দেখা গেছে। এছাড়া কোনো ধরনের সুরক্ষা সামগ্রী ব্যবহার না করে সম্পূর্ণ অনিরাপদ উপায়ে পণ্য তৈরি করা হতো বলে তথ্য পেয়েছে র‌্যাব।

সোমবার দুপুরে পুরান ঢাকার লালবাগের হায়দার বক্স লেনের একটি বাড়িতে অবৈধভাবে চলা এই কারখানায় অভিযান চালায় র‌্যাব। অভিযানে নেতৃত্ব দেন র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু। এ সময় বিএসটিআইয়ের একজন ফিল্ড অফিসার উপস্থিত ছিলেন।
অভিযান শেষে র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু বলেন, ‘আজকের অভিযানে এই প্রতিষ্ঠানে অনুমোদনবিহীন ও বিভিন্ন অনিরাপদ কেমিক্যাল ব্যবহার করে ত্বক ফর্সাকারী নানা ধরনের ক্রিম তৈরি করে আসছিল। অভিযানের সময়ে দেখা যায়, তারা লোকাল বাজারের কাঁচামাল ব্যবহার করে এসব পণ্য উৎপাদন করে আসছে। তারা যে কাঁচামাল ব্যহার করছে এর একটির গায়ে লেখা বি-৩। কিন্তু এটি কোন জাতীয় কাঁচামাল তা কারখানার কারিগর ও বিএসটিআইয়ের প্রতিনিধি কেউই চিহ্নিত করতে পারেননি। একইভাবে বি-এক্স ও হলুদ রঙের আরও একটি কাঁচামালের বিষয়ে কোনো তথ্য দিতে পারেননি তারা। এগুলো প্রতিটিই লেভেলবিহীন। এভাবেই বিভিন্ন ধরনের অনুমোদনহীন কাঁচামাল ব্যবহার করে তারা স্কিন ক্রিম তৈরি করে আসছিল।’

র‌্যাব কর্মকর্তা বলেন, ‘অভিযান চলাকালে এই প্রতিষ্ঠানের কোনো লাইসেন্স, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র দেখাতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। এমনকি তাদের কয়েক ঘণ্টা সময় দেয়ার পরেও প্রতিষ্ঠানের মালিক আসেননি।’ র‌্যাবের এই ম্যাজিস্ট্রেট আরও বলেন, ‘এখানে তারা সনাতন পদ্ধতিতে পণ্য তৈরি করতো। গরম পানির সঙ্গে ভেসলিন, স্টারিক এসিড, বোরাস, এসারিক পাউডার, পালম্যাকসহ বিভিন্ন কেমিক্যাল মিশিয়ে এই ক্রিম তৈরি করতো। তাদের কোনো কেমিস্ট নেই। কারখানার ভেতরে ছোট একটি ল্যাবরেটরি বানিয়ে সেখানে কিছু জিনিসপত্র সাজিয়ে রাখা হয়েছে। কিন্তু তার ব্যবহার সম্পর্কে কিছুই জানে না কারখানার কোনো কর্মচারী।’

পলাশ কুমার বসু বলেন, ‘পুরান ঢাকায় এমন আরও অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা বিভিন্ন ধরনের নকল পণ্য তৈরি করে বাজারে বিক্রি করছে। তাদের নকল পণ্য বাজারজাত করার নেটওর্য়াক খুবই শক্তিশালী। তাদের উৎপাদিত পণ্যগুলো দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের পাশপাশি রাজধানীসহ সারাদেশের অভিজাত মার্কেটগুলোতেও বিক্রি হয়। এর ভুক্তভোগী আমাদের সমাজের প্রায় সবাই।’

অনিরাপদ উপায়ে এমন নকল পণ্য তৈরির অভিযোগে মোহাম্মদ নাসের নামে মালিকপক্ষের একজন প্রতিনিধি এবং কারিগর আনোয়ার শেখকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিপাশা কসমেটিকস এন্টারপ্রাইজ নামের ওই প্রতিষ্ঠানের সব মালামাল জব্দ ও সিলগালা করা হবে। পাশাপাশি গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করা হবে বলে জানিয়েছেন র‌্যাবের এই কর্মকর্তা।


সর্বশেষ সংবাদ
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল হাজারী।   ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: গোলাম কিবরীয়া হাজারী বিটু্।   প্রকাশক: মোঃ ইব্রাহিম পাটোয়ারী।
সহ সম্পাদক- রুবেল হাসান: ০১৮৩২৯৯২৪১২।  বার্তা সম্পাদক : জসীম উদ্দিন : ০১৭২৪১২৭৫১৬।  সার্কুলেশন ম্যানেজার : আরিফ হোসেন জয়, মোবাইল ঃ ০১৮৪০০৯৮৫২১।  রিপোর্টার: ইফাত হোসেন চৌধুরী: ০১৬৭৭১৫০২৮৭।  রিপোর্টার: নাসির উদ্দিন হাজারী পিটু: ০১৯৭৮৭৬৯৭৪৭।  মফস্বল সম্পাদক: রাসেল: মোবা:০১৭১১০৩২২৪৭   প্রকাশক কর্তৃক ফ্ল্যাট নং- এস-১, জেএমসি টাওয়ার, বাড়ি নং-১৮, রোড নং-১৩ (নতুন), সোবহানবাগ, ধানমন্ডি, ঢাকা থেকে প্রকাশিত এবং সিটি প্রেস, ইত্তেফাক ভবন, ১/আর কে মিশন রোড, ঢাকা-১২০৩ থেকে মুদ্রিত।  বার্তা, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ০২-৪১০২০০৬৪।  ই-মেইল : [email protected], web : www.hazarikapratidin.com
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি