শিরোনাম: |
করোনা টিকা যাদের নেওয়া যাবে না
|
স্টাফ রিপোর্টার:
ভারত সরকার বাংলাদেশে ২০ লাখ করোনা টিকা উপহার হিসেবে দিচ্ছে। আরও সু-সংবাদ হচ্ছে ইতোমধ্যে ভারতে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনার টিকা প্রয়োগে ৪০০ জনের শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়। আর এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার তালিকা প্রকাশ করেছে ভারত বায়োটেক। তালিকায় বলা হয়েছে, যাদের দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম অথবা এমন কোনো ওষুধ খাচ্ছেন, যার প্রভাব শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ওপর পড়ছে, যাদের অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে, তাদের কোভ্যাকসিন এড়িয়ে চলা উচিত। গর্ভবতী নারী, যারা শিশুদের স্তন্যপান করান তাদেরও এই প্রতিষেধক এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, জ্বর হলে, রক্তপাতের সমস্যা থাকলে, রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখার ওষুধ খেলে অথবা অন্য কোনো গুরুতর শারীরিক সমস্যা থাকলেও কোভ্যাকসিন নেওয়া নিরাপদ নাও হতে পারে বলে জানিয়েছে ভারত বায়োটেক। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার তালিকা প্রকাশ করেছে ভারত বায়োটেক। ১. অ্যালার্জি রয়েছে এমন কোনো ব্যক্তি কোভ্যাকসিন নিলে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যেতে পারে। ২. শ্বাসকষ্টের পাশাপাশি টিকাগ্রহণকারীর মুখ ও গলা ফুলে যেতে পারে। শরীরে দেখা দিতে পারে ফুসকুড়ি। শরীর দুর্বল হয়ে পড়বে। যখন তখন মাথা ঘুরে পড়ে যেতেও পারে। ৩. সারা শরীরে অসম্ভব যন্ত্রণা, অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ফুলে যাওয়া, চুলকুনি, মাথাব্যথা, জ্বর, বমি বমি ভাবও কোভ্যাকসিনের প্রতিষেধকের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার মধ্যে পড়ে বলে জানায় ভারতের বায়োটেক। ৪. করোনা প্রতিষেধকের দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের পরে টানা তিন মাস তাই টিকাপ্রাপকদের শরীরে কী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়, তা পর্যবেক্ষণ করা হবে। ৫. টিকা নেওয়ার পর যদি কেউ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন, সে ক্ষেত্রে সরকারি হাসপাতাল এবং সরকার অনুমোদিত হাসপাতাল এবং চিকিৎসাকেন্দ্রে তার চিকিৎসার দায়িত্ব নেবে ওই সংস্থা। প্রয়োজনে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে ভারত সরকার। |