বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, 2০২4
অর্থনীতিতে আমরা আরো শক্তিশালী হবো
Published : Wednesday, 3 March, 2021 at 9:11 PM

স্টাফ রিপোর্টার: অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, আমি মনে করি- আমরা যা হারাবো, তার চেয়ে বহুগুণ বেশি পাবো। আমাদের শক্তি আরো অনেক বেশি বাড়বে। অর্থনীতিতে আমরা আরো শক্তিশালী হবো। দিন দিন আমাদের অবস্থা আরো সুদৃঢ় হবে।
বুধবার (৩ মার্চ) বিকেলে অনলাইনে তার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান। আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, এতোদিন আমরা ছিলাম স্বল্পোন্নত দেশ। এখন চলে আসছি উন্নয়নশীল দেশের কাতারে। জাতি হিসেবে আমরা গৌরবান্বিত। এই অর্জনে এ দেশের সব মানুষের অবদান আছে। ২৪ সালের পরিবর্তে ২৬ সালে নিয়ে গেছে ইউএনসিডিপি। সরকারি প্রস্তাবনায় এটা করা হয়েছে। আমরা কেন বাড়তি দুই বছর সময় নিলাম। অনেক কষ্ট করে একটা দেশ গ্রাজুয়েশন করে। গ্রাজুয়েশনের পর একটা দেশের সব সুযোগ-সুবিধাগুলো যদি কেড়ে নেয়া হয়। তাহলে আবার সে আগের অবস্থায় ফিরে যেতে পারে। আরও এগিয়ে যাওয়ার জন্য সুযোগ-সুবিধাগুলো অব্যাহত রাখতে একটা বাড়তি সময় দেয়া উচিত।
তিনি বলেন, তারাও সেদিন আমাকে কথা দিয়েছিলেন যে এটা অত্যন্ত ভালো প্রস্তাব। আমরা আগে এটা এভাবে চিন্তা করি নাই। আমরা অবশ্যই এটা মাথায় রাখবো। সেইভাবেই আমরা সময় বাড়িয়ে নিয়েছি। কারণ গ্রাজুয়েশন যখন হয়, তখন এক স্তর থেকে অরেক স্তরে যাওয়ার কারণে অনেক সুযোগ-সুবিধা কমে যায়। বিপদে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। সেজন্য আগে যে সুযোগ-সুবিধাগুলো ছিলো, সেগুলো কাজে লাগে। আরো কিছু সময় দরকার। সেজন্য বাড়তি সময়টুকু চেয়ে নিয়েছি। যাতে করে এই সময়ের মাঝে নিজেদেরকে প্রস্তুত করতে পারি, এডাপ্ট করতে পারি, ইক্যুইপট করতে পারি। সিডিপি ও অর্থনীতিবিদরা বলেছেন বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়ার কথা।
অর্থমন্ত্রী বলেন, এখন কী কী পদক্ষেপ নিতে হবে সেটা আমাদের স্ট্যাডি করা আছে। কী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে, সেটা এখন সবাই জানে। তবে যে ধরনের ক্ষতির কথা বলা হচ্ছে, সেটা ঠিক না। বলা হচ্ছে ৪ থেকে ৫ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি-বাণিজ্য কমে যাবে। এটা ঠিক নয়। কারণ আমরা ১০০ ডলার রপ্তানি করলে তার পুরোটাই রপ্তানি নয়। সেখানে আমাদের ইনপুট থাকে হয়তো ৭৫ মিলিয়ন ডলার। এটাই আমাদের বুঝতে হবে। আমি মনে করি, এই গ্রেজুয়েশনের জন্য, অবস্থান পরিবর্তেনের জন্য আগের সমস্যাগুলো দূর হবে, আরো সুযোগ সৃষ্টি হবে। এতোদিন পর্যন্ত যারা গ্রাজুয়েশেন করেছে, তারা সবাই কিন্তু লাভবান হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের এখানে ফরেন ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট বা আফডিআই নেই। আমাদের এখানে বিনিয়োগের বিষয়ে আগে সবাই ভয়ে থাকতো। বড় সড় কোনো এলসি খোলার প্রয়োজন হলে দেশের ব্যাংক থেকে আমরা সরাসারি খুলতে পারি না। অন্য কোনো বিদেশি শক্তিশালী ব্যাংক থেকে এনডোর্স করে নিতে হতো। আমাদের এলসিগুলো অন্য দেশে বিশ্বাস করতো না। গ্রাজুয়েশনের ফলে এগুলো চলে যাবে।







সর্বশেষ সংবাদ
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল হাজারী।   ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: গোলাম কিবরীয়া হাজারী বিটু্।   প্রকাশক: মোঃ ইব্রাহিম পাটোয়ারী।
সহ সম্পাদক- রুবেল হাসান: ০১৮৩২৯৯২৪১২।  বার্তা সম্পাদক : জসীম উদ্দিন : ০১৭২৪১২৭৫১৬।  সার্কুলেশন ম্যানেজার : আরিফ হোসেন জয়, মোবাইল ঃ ০১৮৪০০৯৮৫২১।  রিপোর্টার: ইফাত হোসেন চৌধুরী: ০১৬৭৭১৫০২৮৭।  রিপোর্টার: নাসির উদ্দিন হাজারী পিটু: ০১৯৭৮৭৬৯৭৪৭।  মফস্বল সম্পাদক: রাসেল: মোবা:০১৭১১০৩২২৪৭   প্রকাশক কর্তৃক ফ্ল্যাট নং- এস-১, জেএমসি টাওয়ার, বাড়ি নং-১৮, রোড নং-১৩ (নতুন), সোবহানবাগ, ধানমন্ডি, ঢাকা থেকে প্রকাশিত এবং সিটি প্রেস, ইত্তেফাক ভবন, ১/আর কে মিশন রোড, ঢাকা-১২০৩ থেকে মুদ্রিত।  বার্তা, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ০২-৪১০২০০৬৪।  ই-মেইল : [email protected], web : www.hazarikapratidin.com
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি