শিরোনাম: |
নির্বাচনি সংহিসংতায় বিজিবি সদস্য নিহত, আহত ৩০
|
জেলা প্রতিনিধি ॥
নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সহিংসতায় রুবেল হোসেন নামে একজন বর্ডার গার্ড, বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্য নিহত হয়েছেন। উপজেলার গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম দলিরাম মাঝাপাড়া ভোটকেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ললিত চন্দ্র রায় এ তথ্য জানান। গত রোববার ভোটগ্রহণ শেষে রাত ১০টার দিকে ওই ওয়ার্ডের পশ্চিম দলিরাম মাঝাপাড়া ভোটকেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, কেন্দ্রটিতে ভোটগ্রহণ ও গণনা শেষে ফল ঘোষণা করা হয়। সে ফল প্রত্যাখান করেন লাঙ্গল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মারুফ হোসেন অন্তিকের সমর্থরা। নির্বাচন পরিচালনাকারীরা ব্যালটসহ নির্বাচনি সরঞ্জাম নিয়ে উপজেলা সদরে রির্টানিং কর্মকর্তার দপ্তরে আসার সময় লাঠি দিয়ে তাদের ওপর হামলা চালান মারুফের সমর্থকরা। আত্মরক্ষায় একজন বিজিবি সদস্য কেন্দ্রের একটি কক্ষে আশ্রয় নিলে বিক্ষুদ্ধরা তাকে পিটিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যান। এ সময় তারা পুলিশের গাড়ি ও ভোটকেন্দ্রে অগ্নিসংযোগের চেষ্টা চালান। তাদের আক্রমণ থেকে রক্ষায় কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পরে রাত পৌনে ১২টার দিকে পুলিশ এসে নিহত বিজিবি সদস্যের লাশ উদ্ধার করে। ওই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ললিত চন্দ্র রায় বলেন, ফল ঘোষণার পর লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী মারুফ হোসেন অন্তিক লোকজন নিয়ে এসে নির্বাচনি সরঞ্জাম নিতে বাধা দেয়। এ সময় আমাদের ওপর আক্রমণ চালালে আমিসহ একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কয়েকজন পুলিশ, বিজিবি, আনসার সদস্য আহত হন। কর্তব্যরত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা আত্মরক্ষার্থে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়েন। রাত ১১টার দিকে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক আবদুর রহমান বলেন, হামলায় বিজিবির নায়েক রুবেল হোসেন নিহত হয়েছেন। এ সময় পুলিশের একটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। কর্তব্যরত একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসসহ নির্বাচনি কাজে নিয়োজিত ২৫-৩০ জন আহত হয়েছেন। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে নীলফামারী জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, কিশোরীগঞ্জ উপজেলার ইউএনও ৫৬ বিজিবির সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তারা কেউ কল রিসিভ না করায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। |