শিরোনাম: |
হাফ ভাড়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আজ
|
![]() শিক্ষার্থীদের জন্য গণপরিবহণে হাফ পাশের (অর্ধেক ভাড়া) বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করবেন পরিবহণ মালিকরা। আজ বেলা ১১টায় কাজি নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউতে ঢাকা সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতির কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকা সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতির দফতর সম্পাদক সামদানী খন্দকার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, এই সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগরে বাসে হাফ ভাড়ার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে। সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্ল্যাহ উপস্থিত থাকবেন। এর আগে শিক্ষার্থীদের জন্য গণপরিবহণে হাফ পাশ (অর্ধেক ভাড়া) বাস্তবায়নে পরিবহণ নেতাদের সঙ্গে দুইবার বৈঠক করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। কিন্তু কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই এসব বৈঠক শেষ হয়েছে। বৈঠকে উল্টো ভর্তুকি দাবি করেছেন বাস মালিকরা। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতির নেতা খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেছিলেন, ঢাকায় নগর পরিবহণের যে বাসগুলো চলে, তার মালিকদের ৮০ শতাংশই গরিব। একটা বা দুটো বাস চালিয়ে তাদের সংসার চলে। তাদের বাচ্চারাও স্কুল কলেজে যায়।এ কারণে পরিবহণ মালিক-শ্রমিকদের প্রস্তাব হচ্ছে, বাস মালিকদের ক্ষতিপূরণ বা ভর্তুকির বিষয়টি নির্ধারণ করেই হাফ ভাড়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কোন তহবিল থেকে এই ভর্তুকি আসবে সেটিও নির্ধারণ করতে হবে। এদিকে, চট্টগ্রাম মহানগরীর বায়েজিদ থানার আতুরার ডিপো এলাকায় সম্প্রতি আবদুর রহিম নামের এক বাসচালককে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদে শনিবার সকালে হাটহাজারীতে সড়ক অবরোধ করেন পরিবহন শ্রমিকরা। অবরোধের ফলে চট্টগ্রাম-হাটহাজারী-খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রাম-রাঙামাটি মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ভোর ৬টা থেকে শ্রমিকরা সড়কে কোনো গাড়ি চলতে না দেওয়ায় তিন মহাসড়কে হাজার হাজার যাত্রী চরম দুর্ভোগে পড়ে। প্রায় তিন ঘণ্টা পর সকাল ৯টার দিকে পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন শ্রমিকরা। নিহত আবদুর রহিম ৩ নম্বর সিটি সার্ভিস বাসের চালক ছিলেন। তাঁর বাড়ি রাউজান উপজেলার গহিরা এলাকায়। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানাধীন আমিন জুটমিল ১ নম্বর গেট এলাকায় একটি মাইক্রোবাসকে অতিক্রম করতে না দেওয়ায় হাটহাজারীর দ্রুতযান স্পেশাল বাস সার্ভিস নামের পরিবহনের বাসচালক আবদুর রহিমকে বেধড়ক মারধর করে মাইক্রোবাসটির যাত্রীরা। পরে বাসটির অন্য যাত্রীরা তাঁকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ১০টার দিকে মারা যান তিনি। ওই ঘটনার প্রতিবাদে এবং দোষীদের বিচার দাবিতে শনিবার সকালে হাটহাজারী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন পরিবহন শ্রমিকরা। তাঁরা সকাল ৬টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত হাটহাজারীতে চট্টগ্রাম-হাটহাজারী-খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি মহাসড়ক অবরোধ করেন। এতে সড়কের উভয় দিকে আটকা পড়ে সব ধরনের যানবাহন। দুর্ভোগে পড়ে হাজার হাজার যাত্রী। প্রায় তিন ঘণ্টা পর হাটহাজারী থানার ওসি ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাদাত হোসাইন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দোষীদের গ্রেপ্তার করে শাস্তি নিশ্চিতের আশ্বাস দিলে শ্রমিকরা অবরোধ তুলে নেন। |