শনিবার, ১০ জুন, 2০২3
ত্রিপুরায় কমলার দাম আকাশছোঁয়া
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
Published : Thursday, 13 January, 2022 at 7:51 PM

শীতকালে কমলালেবুর বেশ চাহিদা থাকে। কিন্তু দাম যদি হয় আকাশছোঁয়া তাহলে সবার পক্ষে তো আর তা কিনে খাওয়া সম্ভব হয় না। স্থানীয় ফলন না থাকায় ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের অবস্থা তেমনই হয়েছে। আকাশছোঁয়া দামের কারণে ইচ্ছা থাকলেও মুখ ফেরাচ্ছেন ক্রেতারা।

ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে গত প্রায় ২ যুগ ধরে ত্রিপুরা রাজ্যের জম্পুইহিলের সুস্বাদু কমলালেবু একপ্রকার নজির সৃষ্টি করেছে। রাজ্যের বাজারে খ্যাতি লাভ করা এই কমলালেবু থাকায় অন্য সব রাজ্যের কমলালেবুর চাহিদা প্রায় ছিল না বললেই চলে। কিন্তু এখন অন্য রাজ্য থেকে আমদানি করা কমলা হয় চড়া দামে কিনতে হচ্ছে না হয় মুখ ফেরাতে হচ্ছে ক্রেতাদের।

জম্পুইহিলের কমলার চাষ এখন আর আগের মতো নেই বললেই চলে। বিগত বছরগুলোতে যেখানে প্রতিদিন ট্রাকের পর ট্রাক কমলা শুধু রাজধানী আগরতলায়ই নিয়ে আসা হতো, সেখানে চলতি বছর একটি ট্রাককেও জম্পুইহিলের কমলা নিয়ে আসতে দেখা যায়নি।

যা আসছে, তাও পার্শ্ববর্তী রাজ্য মিজোরাম থেকেই। অনেক ক্ষেত্রে আবার পাঞ্জাব থেকেও আসছে ট্রাকভর্তি কমলা।

স্থানীয়ভাবে কাঞ্চনপুর মহাকুমাবাসীরা বলছেন, গত কয়েক বছর ধরেই কর্তৃপক্ষের নজর নেই এদিকে। যে কারণে অপেক্ষাকৃত বয়স্ক গাছগুলো থেকে এখন আর ফলন ভালো হচ্ছে না। ফলন কমে গিয়ে যা পাওয়া যাচ্ছে তাও আকারে অনেকটাই ছোট। দিনের পর দিন এই জম্পুইহিল কমলার ওপর থেকে পর্যটকরাও তাই আকর্ষণ হারাচ্ছেন।

রাজধানী আগরতলার ব্যবসায়ীরা জানান, জম্পুইহিলের কমলা না আসায় চড়া দামেই অন্য রাজ্য থেকে কমলা আমদানি করতে হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই বিক্রি করতে গিয়েও এর দাম পড়ে যাচ্ছে অনেক বেশি। সে কারণে আগের মতো চাহিদাও এখন আর তেমন নেই।

ত্রিপুরায় কমলার দাম আকাশছোঁয়া

খোলা বাজারের ব্যবসায়ী ভিকি সাহা জানিয়েছেন, স্থানীয়ভাবে উৎপাদন কমে যাওয়ায় ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে অন্য রাজ্য থেকেই আমদানি করতে হচ্ছে কমলা। এক্ষেত্রে উন্নত মানের এবং আকারে বড় প্রতিটি কমলার ক্রয়মূল্য পড়ছে ১৭ থেকে ১৮ টাকা। আকারে একটু ছোট হলে সেক্ষেত্রে দাম পড়ছে ৯ থেকে ১০ টাকা।

আগরতলার অপর এক ফল বিক্রেতা সুজিত সাহা বলেন, দীর্ঘ প্রায় ২৫ বছর ধরে এই ফল বিক্রির সঙ্গে তিনি। প্রতিবছরই জম্পুইহিলের কমলা আসলেও এবছর এখনও পর্যন্ত সেভাবে পাওয়া যায়নি এই মৌসুমি ফল। বাধ্য হয়েই অন্য রাজ্য থেকে আমদানি করা কমলা ৮০ থেকে ১০০ টাকা হালি বিক্রি করছেন তিনি।

অপরদিকে জম্পুইহিলের পার্শ্ববর্তী এলাকা কিংবা বাজারগুলোতে জম্পুইহিলের কমলালেবু বিক্রি করা হচ্ছে সর্বাধিক ১০ টাকা হালি। এলাকার উপজাতি অংশের লোকজন জানিয়েছেন, বয়স্ক হয়ে যাওয়ায় বাগানের কমলার গাছগুলো কেটে এখন আবার লাগানো হয়েছে সুপারি গাছ। যে কারণে জম্পুইহিলের সৌন্দর্যও এখন হারিয়ে যেতে বসেছে।





প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল হাজারী।   ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: গোলাম কিবরীয়া হাজারী বিটু্।   প্রকাশক: মোঃ ইব্রাহিম পাটোয়ারী।
সহ সম্পাদক- রুবেল হাসান: ০১৮৩২৯৯২৪১২।  বার্তা সম্পাদক : জসীম উদ্দিন : ০১৭২৪১২৭৫১৬।  সার্কুলেশন ম্যানেজার : আরিফ হোসেন জয়, মোবাইল ঃ ০১৮৪০০৯৮৫২১।  রিপোর্টার: ইফাত হোসেন চৌধুরী: ০১৬৭৭১৫০২৮৭।  রিপোর্টার: নাসির উদ্দিন হাজারী পিটু: ০১৯৭৮৭৬৯৭৪৭।  মফস্বল সম্পাদক: রাসেল: মোবা:০১৭১১০৩২২৪৭   প্রকাশক কর্তৃক ফ্ল্যাট নং- এস-১, জেএমসি টাওয়ার, বাড়ি নং-১৮, রোড নং-১৩ (নতুন), সোবহানবাগ, ধানমন্ডি, ঢাকা থেকে প্রকাশিত এবং সিটি প্রেস, ইত্তেফাক ভবন, ১/আর কে মিশন রোড, ঢাকা-১২০৩ থেকে মুদ্রিত।  বার্তা, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ০২-৪১০২০০৬৪।  ই-মেইল : [email protected], web : www.hazarikapratidin.com
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি