শিরোনাম: |
ত্রিপুরায় কমলার দাম আকাশছোঁয়া
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
|
![]() ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে গত প্রায় ২ যুগ ধরে ত্রিপুরা রাজ্যের জম্পুইহিলের সুস্বাদু কমলালেবু একপ্রকার নজির সৃষ্টি করেছে। রাজ্যের বাজারে খ্যাতি লাভ করা এই কমলালেবু থাকায় অন্য সব রাজ্যের কমলালেবুর চাহিদা প্রায় ছিল না বললেই চলে। কিন্তু এখন অন্য রাজ্য থেকে আমদানি করা কমলা হয় চড়া দামে কিনতে হচ্ছে না হয় মুখ ফেরাতে হচ্ছে ক্রেতাদের। জম্পুইহিলের কমলার চাষ এখন আর আগের মতো নেই বললেই চলে। বিগত বছরগুলোতে যেখানে প্রতিদিন ট্রাকের পর ট্রাক কমলা শুধু রাজধানী আগরতলায়ই নিয়ে আসা হতো, সেখানে চলতি বছর একটি ট্রাককেও জম্পুইহিলের কমলা নিয়ে আসতে দেখা যায়নি। যা আসছে, তাও পার্শ্ববর্তী রাজ্য মিজোরাম থেকেই। অনেক ক্ষেত্রে আবার পাঞ্জাব থেকেও আসছে ট্রাকভর্তি কমলা। স্থানীয়ভাবে কাঞ্চনপুর মহাকুমাবাসীরা বলছেন, গত কয়েক বছর ধরেই কর্তৃপক্ষের নজর নেই এদিকে। যে কারণে অপেক্ষাকৃত বয়স্ক গাছগুলো থেকে এখন আর ফলন ভালো হচ্ছে না। ফলন কমে গিয়ে যা পাওয়া যাচ্ছে তাও আকারে অনেকটাই ছোট। দিনের পর দিন এই জম্পুইহিল কমলার ওপর থেকে পর্যটকরাও তাই আকর্ষণ হারাচ্ছেন। রাজধানী আগরতলার ব্যবসায়ীরা জানান, জম্পুইহিলের কমলা না আসায় চড়া দামেই অন্য রাজ্য থেকে কমলা আমদানি করতে হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই বিক্রি করতে গিয়েও এর দাম পড়ে যাচ্ছে অনেক বেশি। সে কারণে আগের মতো চাহিদাও এখন আর তেমন নেই। ত্রিপুরায় কমলার দাম আকাশছোঁয়া খোলা বাজারের ব্যবসায়ী ভিকি সাহা জানিয়েছেন, স্থানীয়ভাবে উৎপাদন কমে যাওয়ায় ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে অন্য রাজ্য থেকেই আমদানি করতে হচ্ছে কমলা। এক্ষেত্রে উন্নত মানের এবং আকারে বড় প্রতিটি কমলার ক্রয়মূল্য পড়ছে ১৭ থেকে ১৮ টাকা। আকারে একটু ছোট হলে সেক্ষেত্রে দাম পড়ছে ৯ থেকে ১০ টাকা। আগরতলার অপর এক ফল বিক্রেতা সুজিত সাহা বলেন, দীর্ঘ প্রায় ২৫ বছর ধরে এই ফল বিক্রির সঙ্গে তিনি। প্রতিবছরই জম্পুইহিলের কমলা আসলেও এবছর এখনও পর্যন্ত সেভাবে পাওয়া যায়নি এই মৌসুমি ফল। বাধ্য হয়েই অন্য রাজ্য থেকে আমদানি করা কমলা ৮০ থেকে ১০০ টাকা হালি বিক্রি করছেন তিনি। অপরদিকে জম্পুইহিলের পার্শ্ববর্তী এলাকা কিংবা বাজারগুলোতে জম্পুইহিলের কমলালেবু বিক্রি করা হচ্ছে সর্বাধিক ১০ টাকা হালি। এলাকার উপজাতি অংশের লোকজন জানিয়েছেন, বয়স্ক হয়ে যাওয়ায় বাগানের কমলার গাছগুলো কেটে এখন আবার লাগানো হয়েছে সুপারি গাছ। যে কারণে জম্পুইহিলের সৌন্দর্যও এখন হারিয়ে যেতে বসেছে। |