শিরোনাম: |
রোমাঞ্চ জাগিয়েও পারলো না সিলেট
হাজারিকা অনলাইন ডেস্ক
|
![]() দলীয় ৭ রানর ওপেনার এনামুল হককে দিয়ে শুরু। এরপর থেকে সিলেটের ব্যাটাররা ছিলেন শুধু আসা যাওয়ার মিছিলেই। ব্যাটিং বিপর্যয়ের দিনে সিলেটের ব্যাটারদের মধ্য সর্বোচ্চ ইনিংস কলিন ইনগ্রামের ২০। দুই অংক ছুঁতে পেরেছেন মাত্র ৩ জন ব্যাটসম্যান। কুমিল্লার নাহিদুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান আর শহীদুল ইসলাম নিয়েছেন ২টি করে উইকেট। দারুণ বোলিংয়ে ৪ ওভারে মাত্র ১৫ রান দিয়েই ২ উইকেট তুলে নেয় মোস্তাফিজুর রহমান। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা সিলেট শেষ পর্যন্ত ১৯.১ ওভারেই অলআউট ৯৬ রানে। কুমিল্লার সামনে ৯৭ রানের টার্গেটটা তখন বেশ মামুলিই লাগতেছিলো। তবে ম্যাচের নাটক তখনও বাকি। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করতে নেমে বিপর্যয়ের মুখে পড়েন কুমিল্লার ব্যাটাররাও। দলীয় ১৩ রানেই কুমিল্লা হারায় ওপেনার ফাফ ডু প্লেসিসকে। সোহাগ গাজীর বলে আউট হইয়ার আগে এই প্রোটিয়া এই হার্ড হিটার করতে পারেন ৭ বলে মাত্র ২ রান। এরপর থেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে ভিক্টোরিন্সের ব্যাটাররাও। ১০.২ ওভারে ৫৫ রান তুলতেই কুমিল্লা হারিয়ে ফেলে ৫ উইকেট। ম্যাচের পাল্লা তখন সিলেটের দিকে বরং। সেখান থেকে দলের বিপর্যয় সামাল দেন নাহিদুল ইসলাম আর করিম জান্নাত। দুজন মিলে গড়েন ২৭ রানের জুটি। দলীয় ৮২ রানে গিয়ে তাদের জুটি ভাঙার পর আবারও হুড়মুড়িয়ে পড়তে থাকে কুমিল্লার ব্যাটসম্যানরা। ৮৮ রান করতেই কুলিল্লার উইকেট হয়ে যায় ৮ টি। তখন সিলেটের জয়ের জন্য দরকার ২ উইকেট আর কুমিল্লার প্রয়োজন ৯ রান। শেষমেশ আর কোনো অঘটন ঘটতে দেননি মাহিদুল ইসলাম অংকন আর তানভির ইসলাম। ১৮.৪ ওভারে কুমিল্লার জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়েন এই দুই লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যান। সিলেটের বোলাররা লো স্কোরিং এই ম্যাচেও যেভাবে লড়াই করেছে তা প্রশংসার দাবিদ্বার অবশ্যই। স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপউ ৪ ওভারে মাত্র ১৭ রান দিয়েই তুলে নেন ৩ উইকেট। বোলিংয়ে ২ উইকেটের পাশাপাশি ব্যাটিংয়ে উইকেট বাঁচানো ১৬ রানের ফলের ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরষ্কার উঠেছে ভিক্টোরিয়ান্সের নাহিদুল ইসলামের হাতে। |