শিরোনাম: |
হাজারীর আত্মজীবনী (পর্ব-১১৪)
|
স্ত্রীর মৃত্যুর কথা বলে আর্থিকভাবে প্রতারণার চেষ্টা
১৯৯৮ সালে একদিন সমবায় ব্যাংকের যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বেরিয়ে গাড়িতে উঠার সময় দেখি দেয়ালের বাইরে একজন বয়স্ক লোক দাঁড়িয়ে আমাকে বার বার সালাম দিচ্ছে। কাছে গিয়ে বললাম কি ব্যাপার? লোকটি বললেন, গতরাত তিনটায় আমার স্ত্রী মারা গেছে, দাফন-কাফনের সঙ্গতি নেই, কিছু সাহায্য চাই। লোকটি কান্নার ভাব করলো। আমি প্রশ্ন করলাম, তিনটা কত মিনিটে মারা গেছে? তিনি জবাব দিলেন, রাত তিনটা পনেরো মিনিটে। সময় বলাতে আমার সন্দেহ হলো। তার থেকে গ্রামের ঠিকানা নিয়ে কুতুবসহ কজনকে একটি মাইক্রোবাসে ওই গ্রামে পাঠালাম। আর বললাম, দাফন-কাফন শেষ করে তোরা ফিরবি। লোকটা বললেন, আপনাদের কষ্ট করার দরকার নাই। আমাকে ৫শ টাকা দিলে আমি নিজেই সব করবো। আমি তার কথায় কর্ণপাত না করে লোকটিকেও মাইক্রোতে করে পাঠালাম। ছিলোনিয়া বাজারের কাছে পৌঁছে লোকটি বললেন, আমার খুব বাথরুম পেয়েছে। গাড়ি থামালে তিনি একটি ঝোঁপের আড়ালে গিয়ে পাশে ফেনী নদীতে দৌঁড়ে গিয়ে ঝাঁপ দিলেন। পিছু নিল কুতুব ও তার সঙ্গীরা। এক পর্যায়ে লোকটাকে পানিতে ডুবে যেতে দেখে সবাই নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে তাকে তুলে ফেলল। তারপর তার পেট থেকে পানি বের করলো। তার দেয়া ঠিকানাও সঠিক ছিল না। তবু তাকে মারধর না করে ছেড়ে দিল তারা। একই রকম ঘটনা ঘটেছিল ১৯৭১ সালে। এক লোক তার বাবার মৃত্যুর ভুয়া খবর দিয়ে সাহায্যের জন্য এসেছিল। বিষয়টি প্রমাণ করতে গেলে সেও মহিপালের কাছে খোলা জিপ থেকে লাফিয়ে পড়ে দৌঁড়াতে গিয়ে ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মারাত্মক আহত হয়েছিল। |