শিরোনাম: |
সরকারী খরচে এক কোটি লোক বিদেশে পাঠাতে হবে
|
জয়নাল হাজারী ॥ বাংলাদেশের গার্মেন্টস ও কলকারখানাসহ অন্যন্যা আয়ের যতগুলো উৎস আছে কোনটাই ঝুঁকিমুক্ত নয়। যেকোন সময়ে বাংলাদেশ বড় ধরনের অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হতে পারে। তবে বিদেশীদের পাঠানো রেমিটেন্সের উপরেই বাংলাদেশ শক্ত ভিত্তির উপর দাড়িয়ে আছে। অন্যসব কিছুর উপরে তাই বিদেশে লোক পাঠানোকে অধিকতর গুরুত্ব দিতে হবে। এতেই দেশ ও জাতির মঙ্গল। একটি বাজেটে কয়েক লক্ষ কোটির যে বিশাল বাজেট পেশ করা হয় তার মধ্য থেকে কেবল ৫০ হাজার কোটি টাকা বিদেশে লোক পাঠানোর জন্য বরাদ্দ দিলে মাত্র দুই বছরেই এক কোটি লোক সরকারী খরচে বিদেশে পাঠানো সম্ভব। এক বছর সংস্কার কাজের এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের পুরো টাকাটা এই খাতে বরাদ্দ দিলে দেশ ও জাতির সমূহ উন্নতি সম্ভব। টিকেটসহ একজন লোকের কিছু হাত খরচ দিয়ে তাকে এই বরাদ্দের আওতায় বিদেশ পাঠানো সম্ভব। এক কোটি লোক বিদেশ গেলে দুই বছরের মধ্যেই সমপরিমান অর্থ তারা দেশে পাঠাতে সক্ষম হবে। ফলে দেশের রপ্তানি আয়ের সকল দুয়ার বন্ধ হয়ে গেলেও কেবল মাত্র রেমিটেন্সের মাধ্যমে দেশ ঝুঁকিমুক্ত থাকবে। সকল জটিলতা প্রত্যাহার করে যারাই যেতে চায় যত তাড়াতাড়ি পারা যায় তাদের পাঠিয়ে দেয়াই মঙ্গল। যদি টিকেটসহ অন্য যেসব খরচ আছে সেগুলো সরকারের পক্ষে বহন করা কোন কঠিন কাজ নয়। সরকারের বাজেট বরাদ্দের ৮০ ভাগই লোপাট হয়। সেই ক্ষেত্রে একটি বাজেটে ৫০ হাজার কোটি টাকা এই খাতে বরাদ্দ দিয়ে বিদেশে লোক পাঠানোর ক্রাশ প্রোগ্রাম হাতে নিলে দেশ অর্থনীতির ঝুঁকি থেকে মুক্তি পাবে। জনসংখ্যার চাপের অভিশাপ থেকেও দেশ খানিকটা মুক্তি পাবে। এই বিষয়টিকে মাথায় নিলে দেশের বেকার সমস্যাও যথেষ্ট কমে যাবে। এক কাজে তিন উপকার ঃ ১: বেকার সমস্যার সমাধান হবে। ২: দেশ অর্থনৈতিভাবে চাঙ্গা হবে। ৩: জনসংখ্যার চাপ থেকেও মুক্তি পাবে। সুতরাং বিষয়টিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রকল্পটি হাতে নিয়ে বাস্তবায়নের উদ্দোগ নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ রইল। |