শিরোনাম: |
নতুন ও পুরাতন সকলের জন্য দুঃসংবাদ নিয়ে এসেছে ইউটিউবের নতুন নীতিমালা
মিয়াদ হোসেন
|
অনলাইনে আয় করার সুযোগদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বর্তমানে ইউটিউবের সুনাম এখন সবথেকে বেশি। তাই গত কয়েক বছরে বেড়েছে ব্যপক হারে ইউটিউবের কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের পরিমাণ। আর এত পরিমাণ ইউটিউব ব্যবহারকারী নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে ইউটিউব নিজেরাই হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে। আর তাই ইউজারদেরকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য গত এক বছরে তাদের মূল নীতিমালায় প্রায় তিনবার উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এনেছে। কিছুদিন আগেও ইউটিউব এ শুধু একাউন্ট খুললেই টাকা উপার্জন করার যোগ্য বলে বিবেচনা করা হতো এবং নিয়মিত ভিডিও আপলোড দিয়ে অনেকেই বেশ উপার্জনও করছিলেন। কিন্তু এই সুযোগ পেয়ে অনেকেই এর অপব্যবহারও করেছেন। অন্যের ভিডিও নিজের চ্যানেলে আপলোড করে দেওয়া, অ্যাডাল্ট ভিডিও পোস্ট করা, ভিও বাড়ানোর জন্য আপত্তিকর শিরোনাম কিংবা থাম্বনেইল এ অশ্লীল ছবি ব্যবহার করা ইত্যাদি। তবে এই ধরণের ব্যবহারকারীদের জন্য দুঃসংবাদ, নতুন নিয়মে অনেকেই হোছট খেয়ে পড়বেন ইউটিউব ক্যারিয়ার থেকে। ইউটিউবের নতুন নিয়ম ১৭ জানুয়ারি থেকে চালু হলো ইউটিউবের নতুন নিয়ম। এই নিয়মে বিপদে পড়বেন নতুন চ্যানেল খুলেছেন অথবা যেসব চ্যানেলগুলোতে ভিউ এবং সাবস্ক্রাইবার কম তারা। কিছুদিন আগেও ইউটিউবের নতুন নিয়ম নির্ধারণ করা হয়েছিল তা হলো- আপনার চ্যানেলটি অর্থ উপার্জনের যোগ্য (মনেটাইজেশন ইলিজেবল) হতে হলে কম পক্ষে ১০,০০০ (দশ হাজার ভিউ ) থাকতে হবে। কিন্তু বদলে গেছে সেই নিয়মও। নতুন এই নিয়মে আপনার চ্যানেলটি অর্থ উপার্জনের যোগ্য (মনেটাইজেশন ইলিজেবল) হতে হলে কম পক্ষে সর্বশেষ ১২ মাসে ৪হাজার ঘন্টা ওয়াচ টাইম এবং ১ হাজার সাবস্কাইবার থাকতে হবে। এবং ইতোমধ্যে যাদের চ্যানেল কিছুদিন আগেও অর্থ উপার্জনের যোগ্য (মনেটাইজেশন ইলিজেবল)ছিল কিন্তু নতুন নিয়মে যোগ্য নন তাদের চ্যানেলগুলোকেও অর্থ উপার্জনের অযোগ্য হিসেবে ধরা হচ্ছে। অর্থ্যাৎ নতুন এই নিয়ম অনুযায়ী যোগ্যতা অর্জন না করা পর্যন্ত উক্ত চ্যানেলগুলোও মনেটাইজেশন সুবিধা পাবে না। নতুন এই নিয়মের আরও একটি ভয়াবহ দিক হলো- আপনি কষ্ট করে চ্যানেল খুলে ভিডিও আপলোড করে নতুন নিয়ম অনুযায়ী ১০ হাজার ভিউ, ৪ হাজার ওয়াচ টাইম এবং ১ হাজার সাবস্ক্রাইব অর্জন করলেন। তারপর আপনাকে যোগ্য বিবেচনা করে ইউটিউব রিভিউ শুরু করলো এবং রিভিউ শেষেও আপনার চ্যানেলকে অযোগ্য হিসেবেও রেখে দিতে পারে! এর কারণ হিসেবে ইউটিউব উল্লেখ করবে আপনি যে কন্টেন্টগুলো আপলোড করেছিলেন সেগুলো ইউটিউব কমিউনিটি গাইডলাইন মেনে করেননি, আপনি অন্যকারও কন্টেন্ট ব্যবহার করেছেন, আপনি বিনা অনুমতিতে কন্টেন্ট ব্যবহার করেছেনে ইত্যাদি ইত্যাদি। যারা ইউটিউব কে সিরিয়াসলি ক্যারিয়ার হিসেবে নিতে চান তাদের জন্য এটা সুসংবাদ। ইউটিউবে টিকে থাকা আসলে খুব সহজ নয়। কিছু যোগ্যতা অর্জন করেই এখানে টিকে থাকতে হবে। • ৪,০০০ ঘণ্টা ওয়াচ টাইমঃ ওয়াচ টাইম দিয়ে ইউটিউব হিসাব করে কারো ভিডিও আসলে কতটা দেখার মত। ভিডিও যত্ন করে এবং সময় নিয়ে বানালে মানুষ বেশি সময় দেখবে। অথবা নিজের ভিডিওর প্যাটার্ন এবং একই বিষয়ে অন্যদের টা ভালভাবে লক্ষ্য করলে বোঝা যাবে কোন ভিডিওগুলো মানুষ বেশি সময় দেখে, কেন দেখে। • ১,০০০ সবাস্ক্রাইবারঃ সাবস্ক্রাইবার ্বাড়াতে নিয়মিত ভিডিও দেওয়ার কোন বিকল্প নাই। সহজ কথায় ইউটিউব চায়, ইউটিউবাররা তাদের নিয়মগুলো মেনে চলুক। আর সেটা নিয়ন্ত্রণ করতেই ইউটিউব বার বার তাদের নিয়ম পরিবর্তন করছে। |