শিরোনাম: |
বিএনপির কর্মসূচি কি ওবায়দুল কাদের ঠিক করে দেবেন ?
|
খালেদা জিয়ার কারাদণ্ডের রায় নিয়ে বিএনপির কর্মসূচি আওয়ামী লীগ নেতা ওবায়দুল কাদের ঠিক করে দেবেন কি না, সে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপি নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এই প্রশ্ন তোলেন। বিএনপি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চালিয়ে যাবে বলেও জানান তিনি। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সমাবেশটি আয়োজন করে ‘স্বাধীনতা ফোরাম’ নামে বিএনপিপন্থী একটি সংগঠন। খালেদার কারাদণ্ডের প্রতিবাদে বিএনপির নমনীয় কর্মসূচি নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের কটাক্ষের জবাবে মোশাররফ বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের সাহেব বলেন, বলেন বিএনপি কী কর্মসুচি দেয়, এটা কোনো কর্মসুচি হলো? বিএনপি কী কর্মসূচি দেবে, না দেবে সেটা বিএনপি ঠিক করবে, ওবায়দুল না।’ গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয়। গত ২৫ জানুয়ারি রায়ের তারিখ ঘোষণার দিন বিএনপির পক্ষ থেকে আগুন জ্বালানোর হুমকি এলেও রায়ের পর বিএনপির কর্মসূচি এখন অবধি শান্তিপূর্ণ এবং নমনীয়। এর আগে ২০১৩ ও ২০১৪ সালে দশম সংসদ নির্বাচন ঠেকাতে এবং ২০১৫ সালে সরকার পতনের লক্ষ্যে বিএনপির আন্দোলনে ব্যাপক সহিংসতা ও নাশকতা হয়েছে। এবার দলীয় প্রধানের কারাদণ্ডের পর বিএনপির মানববন্ধন, অবস্থান, অনশনের মতো কর্মসূচি নিয়ে কটাক্ষ করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, জোরাল আন্দোলনের অক্ষমতা ঢাকতে বিএনপি শান্তিপূর্ণ শব্দ ব্যবহার করছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এরই মধ্যে তাদেরকে উস্কানি দেয়ার অভিযোগ করেছেন ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে। খন্দকার মোশাররফ বলেন, বিএনপির শান্ত কর্মসূচি দিচ্ছে, কোনো জ্বালাও -পোড়াও করছে না। সরকার যেটা ভেবেছিল, বিএনপি তা করে নাই। আর এতেই ওবায়দুল কাদের সাহেবের মাথা ব্যাথা হয়েছে। এসব চিন্তা কেন করেন? তবে যদি ভালো ঘুম হয় তাহলে চিন্তা করেন। ‘সরকার যত উস্কানি দিক না কেন আমরা খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাব।’ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি শক্তিশালী হয়েছে বলে নেতাদের বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি শক্তিশালী হলে নির্বাচনে আসতে সমস্যা কী। আওয়ামী লীগ নেতার এমন বক্তব্যের জবাবে মোশাররফ বলেন, আমরা কি পাগল হয়েছি যে খালেদা জিয়াকে ছাড়া নির্বাচনে যাব? ‘আমরা নির্বাচনে আসব না এটা কি বলেছি? আমরা নির্বাচনে আসব, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে নিরপেক্ষ সরকার নিশ্চিত করে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বেই নির্বাচনে আসব।’ খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা দুর্নীতির মামলাটিকে বানোয়াট বলেও দাবি করেন মোশাররফ। বলেন, আসলে রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় জেলে দেওয়া হয়েছে যাতে আগামী নির্বাচনে তিনি যেতে না পারেন। সরকার খালেদা জিয়াকে ‘অপরিছন্ন’ ও ‘সাধারণ’ কারাগারে রেখে আইনের অপব্যবহার করেছে অভিযোগ করে বিএনপি নেতা বলেন, এর জন্য তাদেরকে একদিন জবাব দিতে হবে। ‘সরকার মিথ্যা মামলায় খালেদা জিয়াকে জেলে দিয়ে তাকে দুর্নীতিগ্রস্ত প্রমাণ করতে চেয়েছিল। কিন্তু জনগণ তা বিশ্বাস করে নাই। তাই তাকে নেত্রী থেকে দেশ মাতা হিসাবে আখ্যায়িত করেছে।’ আয়োজক কমিটির সভাপতি আবু নাসের মো. রহমাতুল্লাহর সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এমাজউদ্দিন আহমেদ, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, এনডিপি যুগ্ন মহাসচিব সাহাদাত হোসেন সেলিম প্রমুখ এ সময় বক্তব্য রাখেন। |