শিরোনাম: |
জবি’র আড়িয়াল বাসে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ
|
স্টাফ রিপোর্টার॥
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের মাওয়াগামী আড়িয়াল বাসে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মাানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯ টায় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করে জবি শিক্ষার্থীরা।এতে জবির আড়িয়াল বাসে চলাচলকারী শিক্ষার্থীরা ছাড়াও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে।বিক্ষোভ মিছিলটি বিশ্বববিদ্যালয়ের শান্ত চত্ত্বর থেকে শুরু করে বিজ্ঞান ভবন, কলা ভবন হয়ে শান্ত চত্ত্বরে এসে মানব বন্ধনের বন্ধনের মাধ্যমে শেষ হয়। মানব বন্ধন পরবর্তী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ইয়ামিন,জসিম,আল আমীন সহ কয়েকজন শিক্ষার্থী। তারা অভিযোগ করে বলেন, শিক্ষার্থীদের বাসে সাধারণ যাত্রী কিংবা স্থানীয়রা প্রায়ই উঠার চেষ্টা করেন। এতে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে সাধারণ যাত্রীদের উঠতে বাধা দিলে তারা শিক্ষার্থীদের উপর ক্ষেপে যান। যার চূড়ান্তরুপ গত ২০ তারিখের হামলার মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। তারা প্রশাসনের কাছে এই হামলার সুষ্ঠ বিচার দাবি করেন। এ বিষয়ে আড়িয়াল বাসের চালক ইসহাক বলেন,গত ২০ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৫ টার দিকে আড়িয়াল বাসটি দ্বিতীয় ধলেশ্বরী সেতুর উপর জ্যামে আটকা পড়লে কয়েকজন শিক্ষার্থী বাস থেকে নেমে জ্যাম ছাড়ানোর চেষ্টা করে।এসময় সময় সোহেল রানা নামে এক ব্যক্তি এসে শিক্ষার্থীদের উপর চড়াও হয় এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে।এতে শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ করলে রানা এবং ইমরান সহ আরো কয়েকজন মিলে ছাত্রদের উপর চড়াও হয় এবং আড়িয়াল বাসে হামলা করে।এতে একাউন্টিং দশম ব্যাচের লোটাস,ইতিহাসে বিভাগের সোহাগ(৮ম ব্যাচ),সম্রাট (ফিন্যান্স ১০ম ব্যাচ) নাঈম( ১২ তম ব্যাচ) সহ প্রায় ১৫ জন শিক্ষার্থী আহত হন। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নূর মোহাম্মদ বলেন,"আমরা বিষয়টি ভিসি স্যারকে অবহিত করেছি।তিনি মামলা করার জন্য আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন।জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় মামলা করার প্রস্তুতি চলছে"। এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে ৬ দফা দাবি পেশ করেছে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা। সেগুলো হলো ,আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে রানা ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীকে গ্রেফতার, তদন্ত্র করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনা, শিক্ষার্থী নির্যাতন বন্ধে দ্রুত ব্যবস্থা করা , ঢাকা মাওয়া রোডের বাসগুলো যেন যত্রতত্র থামাতে পারে সেই বিষয়ে সচেষ্ট থাকা,শিক্ষার্থীদের ঢাকা-মাওয়া রুটে হাফ ভাড়া নেয়ার ব্যবস্থা, এবং ঢাকা মাওয়া রোড সম্প্রসারণ কাজের সাথে যুক্ত কর্মকর্তা ও শ্রমিকদের সংযত আচরণ করা। |