শিরোনাম: |
জব্দ ইয়াবা আবার বাজারে আসে!
|
জয়নাল হাজারী ॥
খবরের পাতা উল্টালেই প্রতিদিন দেখা যায় মালিকসহ বিপুল পরিমান ইয়াবা উদ্ধার হয়েছে। একটি বছরের হিসাব নিলেই বুঝা যাবে ইয়াবার সংখ্যাটি কোটি পেরিয়ে যাবে। স্বাভাবিকভাবেই যদি কারো মনে প্রশ্ন জাগে জব্দকৃত ইয়াবগুলো কোথায় থেকে কার কাছে যায়। যদি র্যাব ও বিজিবি উদ্ধার করে উদ্ধারকৃত ইয়াবা কিন্তু মামলার কারণে পুলিশের কাছে কিম্বা থানাতেই থাকে। রহস্যজনক বিষয়টি হচ্ছে এই ইয়াবা যখন আদালতে আলামত হিসেবে হাজির করা হয় তখন দেখা গেছে এগুলো আসল ইয়াবা নয়। ফলে কোন কোন ক্ষেত্রে আসামি খালাস পেয়ে যায়। আইনজীবিরা ইয়াবাগুলো প্রথমে কোর্টে চ্যালেঞ্জ করে পড়ে রিপোর্ট আসে এইগুলো নকল। এইক্ষেত্রে বড় ধরণের জালিয়াতির সুযোগ আছে। এর বাইরে জানা গেছে থানা থেকে আসল ইয়াবা বাইরে পাচার করে সেখানে নকল ইয়াবা রাখা হয়। এভাবেই জব্দকৃত ইয়াবা আবার ঘুরে ফিরে বাজারে আসে। মাঝে মধ্যে খবর আসে চোরাচালানের বিপুল সংখ্যক মালামাল ধ্বংস করা হয়েছে কিন্তু কখনোই ইয়াবা ধ্বংস করার খবর কেউ পায়নি। ইয়াবার ধ্বংস করার সময় নকল ইয়াবা ধ্বংস করার সুযোগ সৃষ্টি হবে। সুতরাং ইয়াবা নিয়ে এই জালিয়াতির অবসান না হলে কখনোই দেশ ইয়াবা মুক্ত হবে না। বিভিন্ন সময় কাস্টমস যে সমস্ত স্বর্ণ জব্দ করেছে এক সময় দেখা গেছে সেগুলোকে তামা কিংবা পিতল বলে চালিয়ে দেয়া হয়েছে। এতে শুধু দেশ রাজস্ব হারায়নি আসামিরাও খালাস পেয়ে গেছে। সেজন্য ইয়াবার সংরক্ষণ এবং তদারকি আরো কঠোর ও স্বচ্ছ করার বিষয়টি সকলকে ভাবতে হবে। সব সময় ইয়াবা ধরা হচ্ছে কিন্তু কখনোই ইয়াবার নির্মূল হওয়ার কোন লক্ষণ দেখা যায় না। সেজন্যই জব্দকৃত ইয়াবাকে কঠোর নজরদারিতে রেখে তা এক সময় স্বচ্ছতার সাথে ধ্বংস করতে হবে। মোট কথা জব্দকৃত ইয়াবা যাতে কিছুতেই আবার বাজারে আসতে না পারে সেদিকে সকলকে নজর দিতে হবে। নতুবা সমাজ থেকে ইয়াবা নির্মূল হবে না। |