শিরোনাম: |
পুরনো মন্ত্রীদের সবাই ব্যর্থ ছিল না
|
জয়নাল হাজারী ॥
বর্তমান সরকারের মন্ত্রীসভায় বেশ কিছু নতুন মুখ এসেছে। আপাত দৃষ্টিতে এতে জনগণ খুশি। বলা হচ্ছে বিগত সরকার সব দিক থেকে সফল। সরকারের সফলতা সত্যেও ব্যাপকহারে মন্ত্রীদের বাদ দেয়া হলো কেন প্রশ্ন থেকেই যায়? বলা হচ্ছে শিক্ষাক্ষেত্রে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও সাফল্যের গানই গাওয়া হচ্ছে। তাহলে শিক্ষামন্ত্রী ও বাণিজ্যমন্ত্রীকে বাদ দেয়া হলো কেন? এসবের উত্তর কেবল প্রধানমন্ত্রী দিতে পারবেন তবে তিনি সরাসরি বাদ দেয়াদের ব্যাপারে কোন খারাপ মন্তব্য করেননি। বরং তাদের প্রশংসাই করেছেন। এটাকে সবাই শান্তনার বাণী হিসেবেই দেখছেন। আসলে কোন কোন মন্ত্রী যারা খুব একটা তৎপরতা দেখাতে পারেনি তাদের কিন্তু কোন বদনাম নেই। বরং যারা বেশি তৎপর ছিলেন তারা বদনামেরভাগি হয়েছেন। আসলে সচিবালয়ে মন্ত্রীদের খুব একটা ভূমিকাও নেই। মূল কাজ সচিবরাই করে থাকেন। আর নীতিনির্ধারণ করেন প্রধানমন্ত্রী। মাঝখানে মন্ত্রীর একটি সাক্ষর দিতে হয়। সৈয়দ আশরাফ খুবই গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী ছিলেন। তিনি সচিবালয়ে আসতেন না বললেই চলে। বাসায়ও কারো সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করতেন না। তবুও মন্ত্রণালয়ের কাজে খুব একটা বিঘ্ন ঘটেনি। সুতরাং কোন মন্ত্রণালয়ের সাফল্য ও ব্যর্থতা মন্ত্রীর উপর নির্ভর করে না। সরকার সফল, আর মন্ত্রীরা ব্যর্থ এটা কোন বাস্তব চিন্তা নয়। নতুন মন্ত্রীদের নিয়ে মানুষের মধ্যে উচ্ছ্বাস আছে কোন কোন এলাকায় মন্ত্রীরা বাদ যাওয়াতে সেই এলাকার মানুষ খুবই খুশি। আসলে ক্ষমতায় থাকলে সকলকে খুশি করা যায় না। ফলে ক্ষমতাসীনরা কখনো কখনো অপ্রিয় হয়ে পড়ে। এটা একেবারেই বাস্তবতা। আর আমাদের গরীব দেশে মানুষের চাহিদা খুবই বেশি এবং সেসব চাহিদা পূরণ করাও সম্ভব নয়। ইতিমধ্যে চালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। সেজন্যে নতুন মন্ত্রীকে কতটা দায়ি করা যায় জানি না। তবে তদন্ত করলে দেখা যাবে এতে মন্ত্রীর কিছুই করনীয় নাই। মোট কথা আমি শুধু বলবো সরকার সব দিক থেকে সফল আর মন্ত্রীরা ব্যর্থ ছিলেন এটা কিছুতেই বলা যাবে না। সুতরাং বাদ পড়া মন্ত্রীরা সবাই ব্যর্থ ছিলেন এটা আমি একেবারেই মানতে নারাজ। তবে কোন বিবেচনায় নেত্রী সিনিয়র মন্ত্রীদের বাদ দিয়েছেন তিনিই ভাল জানেন। |