শিরোনাম: |
ফেনী নদীতে পোনা সংগ্রহে নির্ভর ২ হাজার মানুষের জীবিকা
|
ফেনী প্রতিনিধি ॥
সাগর উপকূলীয় ফেনী নদীতে পোনা মাছ সংগ্রহে ২ হাজার মানুষের জীবিকা নির্বাহ করেন। সরেজমিন ঘুরে ও জেলেদের সাথে কথা বলে এ চিত্র জানা গেছে। জেলেরা জানান, চৈত্রের প্রথম সপ্তাহ থেকে আষাঢ় মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত চিংড়ি মাছ পোনা ছাড়ে। জোয়ার ভাটায় সাগরের নোনা পানিতে মিঠা পানি মিশলে চিংড়ি পোনা নদীর তীরে ভীড়ে। তখন জেলেরা নদী থেকে বক্স জাল কিংবা ঠেলা জাল দিয়ে তা সংগ্রহ করে মাঝিদের কাছে বিক্রি করে। তারা আরো জানান, একজন জেলে প্রতিদিন সর্বনিম্ন ৩শ থেকে ৬শ কিংবা ৭শ পোনা সংগ্রহ করতে পারেন। তারা মহাজনদের সরবরাহ করে। মহাজন চিংড়ি পোনাগুলো ১শ পিস করে ড্রাম ভর্তি করে অক্সিজেন দিয়ে ১০ হাজার পিস করে উত্তরবঙ্গ সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় মৎস্য খামারগুলোতে বিক্রি করে। প্রতিটি জেলের তালিকা ও পোনা সংগ্রহের পরিমানে টাকা পরিশোধ করেন মহাজন। জেলেরা নদীদে মাছ না পেলেও মহাজন তাদের পরিবার-পরিজনের খরচ বহন করেন। নদীর তীরে কথা হয় বাগেরহাট জেলার রামপাল এলাকার বাসিন্দা জেলে আমজাদ খানের সাথে। তিনি জানান, মামুন ফকির, আবু সায়েদ, আরিফ ফকির, তুহিন সহ তারা ৭ জন জেলে এসেছেন। পহেলা চৈত্র থেকে তারা এখানে ৪ থেকে সাড়ে ৪মাস অবস্থান করবেন। এভাবে দেশেন বিভিন্ন জেলা থেকে দলবেঁধে জেলেরা এখানে পোনা সংগ্রহ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। বেশিরভাগ জেলেদের গ্রামের বাড়ি মংলা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, নোয়াখালী, রংপুর, পাইকগাছা। তারা একেকসময় একেকটি টিম পোনা সংগ্রহে আসেন। তুহিন নামের এক জেলে জানান, এখানে মহাজন আমাদের থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছে। আমরা রান্না করে নিজেরা খেতে হয়। টাকার প্রয়োজন হলে মহাজন চাহিদা মত টাকা দেয়। পরে আমাদের কাছ থেকে তা কেটে নেয়। আমরা প্রতিমাসে বিকাশের মাধ্যমে বাড়িতে টাকা পাঠাই। একপিস চিংড়ি পোনা বাবদ ১ টাকা করে মহাজন জেলেদের কাছ থেকে নিয়ে থাকে। এখানে পোনা সংগ্রহের পর বিক্রি করে প্রায় ২ হাজার জেলে পরিবারের খরচ যোগান। |