জেলা প্রতিনিধি ॥
‘যে বগিটি ছিটকে পড়ে গেছে, আমি সেই বগির পেছনে ছিলাম। আমার মনে হয়েছিল আমি আর বাঁচব না। আজ আমার জীবনের শেষ দিন। আমি প্রথমেই বগি থেকে বের হয়েছি। আমার বগিতে দুইজন নিহত হয়েছে। যারা মারা গেছে তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।’
কমলাপুর রেলস্টেশনে নেমে দুর্ঘটনাকবলিত বগি থেকে কাকতালীয়ভাবে বেঁচে যাওয়া যাত্রীদের একজন  সোমবার সকাল পোনে ১১টার দিকে এ কথা বলেন।
সিলেট জেলার কানাইঘাট উপজেলার সাতপাক গ্রামের আহত ওই ব্যক্তি আরও বলেন, ‘ঘটনার ১০-১৫ মিনিটের মধ্যেই উদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে। এলাকার জনগণ যথেষ্ট সহযোগিতা করেছে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসছে। মাইকিং করেছে। এরপরই পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স, ডাক্তার এসে আমাদের উদ্ধার তৎপরতা চালিয়েছে।’
তার আগে মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় দুর্ঘটনায় পড়া উপবন এক্সপ্রেস ট্রেনটি সাতটি বগি নিয়ে সকাল ১০টার দিকে কমলাপুর এসে পৌঁছায়।
বিষয়টি  নিশ্চিত করে কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার  বলেন, দুর্ঘটনার কারণে সিলেটের দুটি ট্রেনের শিডিউল বাতিল করা হয়েছে। সিলেটের সঙ্গে সারাদেশের ট্রেন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। কখন থেকে আবার পুরোপুরি চালু হবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না।