শিরোনাম: |
গাড়ি না ধোয়ায় সহকারীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, চালক আটক
|
জেলা প্রতিনিধি ॥
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় গাড়ি না ধোয়ায় অন্তর চন্দ্র দাস (১৩) নামের এক শিশু সহকারীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে কাভার্ডভ্যান চালকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় চালক ওমর ফারুককে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অন্তর চন্দ্র দাসের মৃত্যু হয়। নিহত অন্তর চন্দ্র দাস নরসিংদীর মৃত অনন্ত চন্দ্র দাসের ছেলে। সে তার মায়ের সঙ্গে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেরার স্কুলঘাট এলাকায় জনৈক মালেকের বাড়িতে ভাড়া থাকত। নিহতের স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহত অন্তর চন্দ্র দাস কাভার্ডভ্যান চালক ওমরের সহযোগী হিসেবে কাজ করত। গত বুধবার সকালে গাউছিয়া থেকে ফতুল্লার জালকুড়িতে আসার পর তাকে গাড়িটি ধুতে বলেন চালক। কিন্তু সে গাড়ি না ধোয়ায় ওমর তাকে লাঠি দিয়ে বেধরক পেটায়। এ ঘটনায় তিন দিন অসুস্থ থাকার পর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে স্বজনরা শনিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসাপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। অন্তরের মা শেফালি রাণী দাস কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘বাপ নাই, তাই পোলাডারে হেলপারির কামে দিছিলাম। ওই দিন শরীরে জ্বর ছিল তাই গাড়ি ধুইতে চায় নাই বইলা তারে পিটাইলো। তিন দিন বিছনায় ছিল। সকাল বেলা বাবার (ছেলের) শরীরডা আরও খারাপ করায় হাসপাতালে নিয়া আসি। পরে ডাক্তার কয়, আমার বাবায় আর নাই। আমার বাবারে পিটাইয়া মাইরা ফালাইসে। আমি ট্যাকা-পয়সা কিছু চাই না, আমি আমার বাবার হত্যার বিচার চাই।’ নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসাপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. গোলাম মোস্তফা ইমন জানান, হাসপাতালে আনার আগেই ছেলেটির মৃত্যু হয়েছে। ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসেন বলেন, হেলপারকে পিটিয়ে হত্য অভিযোগে চালককে আটকগ্রেফতার করা হয়েছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। |