শিরোনাম: |
ট্রেন ছাড়ছে দেরিতে, চরম ভোগান্তি
|
![]() ঈদ উদযাপনের জন্য যারা ট্রেনের অগ্রিম টিকিট সংগ্রহ করেছিলেন তারা বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দ্বিতীয় দিনের মতো ট্রেনে করে ঢাকা ছাড়ছেন। গুড়িগুড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে নির্ধারিত সময়ের আগেই কমলাপুর স্টেশনে উপস্থিত হন যাত্রীরা। সকালে কমলাপুর স্টেশনে এসে সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়েছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যেতে চাওয়া যাত্রীরা। গতকাল ট্রেনের কিছুটা দেরিতে ছেড়েছিল। তবে আজ (বৃহস্পতিবার) আরও দেরিতে ছেড়ে যাচ্ছে ট্রেন। অন্য ট্রেনগুলোরও বিলম্ব হবে বলে স্টেশন থেকে জানানো হয়েছে। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গগামী ট্রেনগুলোর প্রতিটিই বিলম্বে ছেড়ে যাবে বলে স্টেশনে রাখা স্ক্রিনে দেখা যাচ্ছে। স্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, দিনের শুরুতে রাজশাহীগামী ধুমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনটি সকাল ৬ টা ২০ মিনিটে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও কমলাপুর ছেড়ে যায় প্রায় ২ ঘণ্টা পর সকাল সাড়ে ৮টার দিকে। চিলাহাটীগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস সকাল ৮ টায় ছাড়ার কথা থাকলেও স্টেশনে রাখা স্ক্রিনে সম্ভাব্য সময় দেয়া হয় ১০ টা ২৫ মিনিট। বেলা ১১টায় এ ট্রেন ছাড়েনি। এ ছাড়া সকাল ৯ টার রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার সম্ভাব্য সময় দেয়া হয় সাড়ে ১০টায়, তবে বেলা ১১টা পর্যন্তও ছাড়েনি। দিনাজপুর-পঞ্চগড়গামী একতা এক্সপ্রেস সকাল ১০ টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও ছাড়েনি। নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী মাহফুজুর রহমান বলেন, আজকের টিকিট সংগ্রহের জন্য গত ৩০ জুলাই ১৪ ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। অনেকটা যুদ্ধ করে আজকের কাঙ্ক্ষিত টিকিট পেয়েছিলাম, কিন্তু আজ সময়মতো স্টেশনে উপস্থিত হয়ে জানতে পারলাম ট্রেন আড়াই ঘণ্টা লেট। সঙ্গে মা, স্ত্রী, ছোট ছোট সন্তান রয়েছে। একে দীর্ঘপথ আমাদের যাত্রা করতে হবে, অন্যদিকে যদি ট্রেন এত লেট হয়, তাহলে এই বিড়ম্বনা কীভাবে মেনে নেয়া যায়। কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার আমিনুল হক বলেন, আজ (বৃহস্পতিবার) ঈদযাত্রার দ্বিতীয় দিনে সারা দিনে কমলাপুর স্টেশন থেকে ৩টি স্পেশালসহ মোট ৫৫টি ট্রেনে ছেড়ে যাবে। আমরা সার্বিক চেষ্টা করছি, ট্রেনগুলোর শিডিউল ঠিক রাখার। |