শিরোনাম: |
আসামে ১৪৪ ধারা জারি
|
আন্তর্জাতিক ডেস্ক ॥
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের চূড়ান্ত ন্যাশনাল রেজিস্টার অব সিটিজেন্স (এনআরসি) বা নাগরিকপঞ্জি প্রকাশ হবে আজ। এ লক্ষ্যে রাজ্যজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। গুয়াহাটিসহ রাজ্যের উত্তেজনাপ্রবণ এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। শনিবার (৩১ আগস্ট) দুপুরের মধ্যেই চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে। রাজ্যজুড়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অতিরিক্ত ৫১ কোম্পানি সিএপিএফ মোতায়েন করা হয়েছে। শুক্রবার আসামের ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা কুলধর শইকিয়া জানিয়েছেন, রাজ্যে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে ৫১ কোম্পানি সিএপিএফ পাঠিয়েছে কেন্দ্র। আগে থেকেই রাজ্যে ১৬৭ কোম্পানি সিএপিএফ মোতায়েন করা রয়েছে। শান্তি বজায় রাখতে সব রকমের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এদিকে, তালিকা থেকে ৪১ লাখ লোক বাদ পড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি অনলাইন। নাগরিকপঞ্জি প্রকাশকে ঘিরে আসামের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন, ‘সকাল ১০টার মধ্যে অনলাইনে তালিকা প্রকাশ করা হবে এবং যাদের ইন্টারনেট সংযোগ নেই তারা রাজ্য সরকার স্থাপিত নিকটস্থ সেবাকেন্দ্রে যেয়ে তাদের অবস্থা যাচাই করতে পারবেন।’ কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যাদের নাম চূড়ান্ত নাগরিকপঞ্জিতে আসেনি সব ধরণের আইনগত ব্যবস্থা না নেওয়ার আগ পর্যন্ত তাদেরকে বিদেশি বলা যাবে না। তালিকা থেকে যারা বাদ পড়েছেন তারা ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে আবেদন করতে পারবেন। ৬০ থেকে ১২০ দিনের মধ্যে তাদেরকে এ আবেদন করতে হবে। ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আপিল আবেদনের শুনানির জন্য রাজ্যে অন্তত এক হাজার ট্রাইবুনাল গঠন করা হবে। ইতোমধ্যে ১০০ ট্রাইবুনাল গঠন করা হয়েছে এবং সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ নাগাদ আরো দুই শতাধিক গঠন করা হবে। ট্রাইবুনালে হেরে গেলে যে কেউ হাই কোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারবেন।বিবিসি জানিয়েছে, ১৯৫১ সালে আসামের নাগরিকপঞ্জির প্রথম তালিকাটি প্রকাশিত হয়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হলে লক্ষ লক্ষ মানুষ পালিয়ে ভারতে চলে যায়। এদের একাংশ আসামে আশ্রয় নেয়। অল আসাম স্টুডেন্টস ইউনিয়ন (আসু) ১৯৭৯ সালে অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে। ১৯৮৩ সালে এই আন্দোলন সহিংস রূপ নেয়। ওই সময় দুই হাজার সন্দেহভাজন অবৈধ অভিবাসী নিহত হয়, যাদের বেশিরভাগই ছিলো মুসলমান। ২০০৯ সালে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে নাগরিকপঞ্জি হালনাগাদের জন্য একটি পিটিশন দায়ের করা হয়। আদালতের নির্দেশে প্রেক্ষিতে ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে প্রথম খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হয়। খসড়ার দ্বিতীয় তালিকাটি প্রকাশিত হয় ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই। |