শিরোনাম: |
গৃহকর্মীকে গরম পানি ঢেলে নির্যাতন, স্বামী-স্ত্রী আটক
হাজারিকা অনলাইন ডেস্ক
|
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে সাদিয়া বেগম (১৮) নামের গৃহকর্মীকে লাঠিপেটা ও গরম পানি ঢেলে নির্যাতনের অভিযোগে স্বামী ও স্ত্রীকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টায় সাদিয়াকে ভৈরব উপজেলা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সাদিয়ার পিতার নাম মরহুম জামাল মিয়া এবং বাড়ি ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার সিংগেরকান্দা গ্রামে। ভৈরব বাজারের গিয়াস উদ্দিন মিয়ার কন্যা গৃহকর্তী মেহেরুন্নেছা অপি তুচ্ছ ঘটনায় তার পিঠে লাঠিপেটাসহ হাতে গরম পানি ঢেলে ছ্যাকা দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন সাদিয়ার পিতা। গৃহকর্তীর স্বামীর নাম সাদলী। চিকিৎসকরা জানান, তার শরীরে অনেক আঘাত রয়েছে। খবর পেয়ে ভৈরব থানা পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে তার নির্যাতনের বর্ণনা শুনেছে।
জানা গেছে, সাত বছর আগে সাদিয়া বেগম তার দুঃসর্ম্পকের এক খালার মাধ্যমে ভৈরব বাজারের গৃহকর্তী মেহেরুন্নেছা অপির বাসায় কাজের মেয়ে হিসেবে কাজ পায়। সে জানায় প্রথম দিকে তাকে কাজের জন্য কোন নির্যাতন করা হতনা। কয়েক বছর যাওয়ার পর কাজ করতে গিয়ে তুচ্ছ ঘটনায় যখন তখন তাকে মারধরসহ প্রায়ই তার হাতে গরম পানি ঢেলে ছ্যাকা দিত। অনেক সময় তার হাত পা বেঁধে মারধর করত। তাকে বাসার বাইরেসহ বাড়িতে যেত দিতনা। গৃহকর্তী বাসার বাইরে গেলে তাকে তালাবন্ধ করে ঘরে রেখে যেত। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় কাজের সময় একটি চুড়ি ভেঙে গেলে তাকে লাঠি দিয়ে পেটানোসহ গরম পানি ঢেলে হাতে ছ্যাকা দেয়া হয়। এরপর রাতে গোপনে সে বাসা থেকে পালিয়ে খালার ভাড়া বাসায় আশ্রয় নেয়। ভৈরব থানার উপ-পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন জানান, খবর পেয়ে আমি হাসপাতালে গিয়ে সাদিয়ার শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন দেখতে পাই। থানার অফিসার ইনচার্জের সাথে কথা বলে এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। উপজেলা স্বা কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত ডাক্তার মোঃ ফেরদৌস জানান, তার শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আঘাতগুলো গুরুত্বর বলে তাকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। |