বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, 2০২4
এনআরসি: বাংলাদেশ নিয়ে ‘গভীর চক্রান্ত’ দেখছে বিএনপি
Published : Thursday, 12 September, 2019 at 9:05 PM

স্টাফ রিপোর্টার॥
ভারতের আসামে নাগরিকপঞ্জি তৈরির পেছনে বাংলাদেশকে নিয়ে ‘গভীর চক্রান্ত’ দেখছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। যদিও সে চক্রান্ত কী হতে পারে, সে বিষয়ে তিনি কোনো ধারণা দেননি।
দলীয় চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে এ কথা বলেন বিএনপি নেতা।
সম্প্রতি আসামে ‘বিশুদ্ধ নাগরিক’ খুঁজতে নাগরিকপঞ্জি প্রকাশ করে। এতে প্রায় ১৯ লাখ মানুষের নাম নাগরিক তালিকা থেকে বাদ পড়েছে যাদের ১৭ লাখেরও বেশি বাংলাভাষী।
বলা হচ্ছে, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের আগে যারা ভারতে গেছে তাদেরকে এবং তাদের বংশধরদের নাগরিকের তালিকায় রাখা হয়েছে। আসামের পর পশ্চিমবঙ্গেও এনআরসি করার ঘোষণা এসেছে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির পক্ষ থেকে।
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার বলছে, এই এনআরসি তাদের দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এ নিয়ে বাংলাদেশের ভাবার কারণ নেই। তবে প্রাদেশিক সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এই ১৭ লাখ বাংলাভাষী বাংলাদেশ থেকে ভারতে গেছে এবং এদেরতে ফিরিয়ে নেয়ার বিষয়ে তারা ঢাকার সঙ্গে আলোচনা করবে।
তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ১৯৭১ সালের পর বাংলাদেশ থেকে কেউ ভারতে চলে যায়নি। কাজেই এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেখানোর কিছু নেই।
মন্ত্রীর সুরেই বললেন ফখরুল। তিনিও বলেন, ‘আমরা পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই, কোনো বাংলাদেশি ভারতে যায়নি স্বাধীনতার পরে। বাংলাদেশকে আবারও বিপদগ্রস্ত করার জন্য গভীর চক্রান্ত শুরু হয়েছে।’
আসাম থেকে ‘বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের’ খুঁজে বের করে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়ার হুমকি এলেও সরকার ‘নিরবতা’ নিয়ে প্রশ্ন রাখেন বিএনপি নেতা। তার অভিযোগ, এই সরকারের পররাষ্ট্রনীতি ‘নতজানু’।
এই ‘নতজানু’ পররাষ্ট্র নীতির কারণেই রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান হচ্ছে না বলেও মনে করেন ফখরুল। বলেন, ‘আজকে সরকার রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করতে পারছে না। কারণ তাদের সেই বৈধতা নেই, সাহস নেই। নতজানু পররাষ্ট্র নীতির কারণে তারা আজ এ রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করতে পারছে না।’
২০১৭ সালের আগস্টে বাংলাদেশে ছুটে আসা আট লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে নিজ দেশে ফিরিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ এখনো সফল হয়নি। প্রত্যাবাসন শুরুর জন্য দুই দফা দিন তারিখ ঠিক হলেও মিয়ানমারে নিরাপত্তাহীনতার অযুহাত দেখিয়ে যাচ্ছে না রোহিঙ্গারা। আর দেশটির ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ।
৮০ দশক থেকেই বাংলাদেশে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ শুরু। আর সব মিলিয়ে এখন শরণার্থীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ লাখের বেশি।
 

 


সর্বশেষ সংবাদ
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল হাজারী।   ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: গোলাম কিবরীয়া হাজারী বিটু্।   প্রকাশক: মোঃ ইব্রাহিম পাটোয়ারী।
সহ সম্পাদক- রুবেল হাসান: ০১৮৩২৯৯২৪১২।  বার্তা সম্পাদক : জসীম উদ্দিন : ০১৭২৪১২৭৫১৬।  সার্কুলেশন ম্যানেজার : আরিফ হোসেন জয়, মোবাইল ঃ ০১৮৪০০৯৮৫২১।  রিপোর্টার: ইফাত হোসেন চৌধুরী: ০১৬৭৭১৫০২৮৭।  রিপোর্টার: নাসির উদ্দিন হাজারী পিটু: ০১৯৭৮৭৬৯৭৪৭।  মফস্বল সম্পাদক: রাসেল: মোবা:০১৭১১০৩২২৪৭   প্রকাশক কর্তৃক ফ্ল্যাট নং- এস-১, জেএমসি টাওয়ার, বাড়ি নং-১৮, রোড নং-১৩ (নতুন), সোবহানবাগ, ধানমন্ডি, ঢাকা থেকে প্রকাশিত এবং সিটি প্রেস, ইত্তেফাক ভবন, ১/আর কে মিশন রোড, ঢাকা-১২০৩ থেকে মুদ্রিত।  বার্তা, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ০২-৪১০২০০৬৪।  ই-মেইল : [email protected], web : www.hazarikapratidin.com
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি