শিরোনাম: |
সোনাগাজীতে গৃহবধু ধর্ষণের অভিযোগে এএসআই সুজন দাস প্রত্যাহার
|
ফেনী প্রতিনিধি॥
সোনাগাজীতে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠায় সোনাগাজী মডেল থানার এএসআই সুজন কুমার দাসকে জেলা পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে তাকে প্রত্যাহার করে নেয় কর্তৃপক্ষ। সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মঈন উদ্দিন আহমেদ দাবী করেন, ওই নারীর জমিজমা সংক্রান্ত অভিযোগ তদন্তে দায়িত্ব অবহেলার কারনে তাকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। এর আগে গত ২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষে সিরাজ উদদৌলার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি ও যৌনহয়রানির মামলা করতে এসে নুসরাত জাহান রাফির ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেন সোনাগাজী মডেল থানা সাবেক ওসি মো. মোয়াজ্জেম হোসেন। তথ্য প্রযুক্তি ও ডিজটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে ওসি মোয়াজ্জেম এখনও জেলহাজতে রয়েছে। এর ক্ষত না শুকাতেই আবারও সোনাগাজী মডেল থানার আরেক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠায় জনমনে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। সোনাগাজী সার্কেলের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) মো: সাইকুুল আহমেদ ভূঁইয়া জানান, বিষয়টি চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি অফিসের অপরাধ বিভাগের পুলিশ সুপার হাসান মাহমুদ তদন্ত করছেন। গত বৃহস্পতিবার ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম তানিয়া ইসলামের আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি প্রদান কালে গণধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূ পুলিশ কর্মকর্তা সুজন দাস তাকে দুইবার ধর্ষণ করেছে বলে আদালতকে জানায়। সূত্র জানায়, ওই নারী গত ১০ সেপ্টেম্বর জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগ দেন। এএসআই সুজন কুমার দাস অভিযোগটি তদন্ত না করে তার কাছে টাকা চেয়েছেন। গত রবিবার বিকেলে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হয়ে থানায় মামলা করতে এসে আরেক নারী প্রতারক রহিমার খপ্পরে পড়ে দুদফা গণধর্ষণের শিকার হন ওই নারী। এ ঘটনায় তিনি নিজে বাদি হয়ে বুধবার সঞ্জু সিকদার, আফলাছ ও নারী প্রতারক রহিমা বেগমের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও তিনজনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সোনাগাজী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মো. খালেদ হোসেন বলেন, এ ঘটনায় সঞ্জু সিকদার ও রহিমাকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। আদালতের একটি সূত্র জানায়, ২২ধারায় জবানবন্দি প্রদান করার সময় ওই নারীকে কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন বলে মনে হয়েছে। যার ফলে তিনি অনেক অসংলগ্ন কথাবার্তা বলেছেন। এছাড়া উপস্থিত পুলিশ সদস্যসহ অনেকের সঙ্গে খুব খারাপ আচরণ করেছে। এ বিষয়ে কথা বলতে অভিযুক্ত এএসআই সুজন কুমার দাসের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও সংযোগ পাওয়া যায়নি। |