শুক্রবার, ২৯ মার্চ, 2০২4
যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে বাড়ি থেকে বের করে দিলেন চেয়ারম্যান
Published : Monday, 21 October, 2019 at 7:56 PM

 জেলা প্রতিনিধি ॥
মোটা অংকের যৌতুক চেয়ে না পাওয়ায় স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইনামুল হাসানের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় স্ত্রী শীলা খানম বাদী হয়ে গোপালগঞ্জের আদালতে মামলা করেছেন। মামলায় ইনামুল ছাড়াও তার ভাই মাহবুব আলম, ভাইয়ের স্ত্রী শার্মিলা বেগমকে আসামি করা হয়েছে। সোমবার আসামিরা গোপালগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিনের আবেদন করলে তা মঞ্জুর করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি উপজেলার বিশ্বনাথপুর গ্রামের আবু জাফর মোল্যার মেয়ে শীলা খানমকে এ বছরের ২৫ মে বিয়ে করেন ইনামুল হাসান।
মামলার এজাহারে বলা হয়, বিয়ের সময় ইনামুল হাসান শ্বশুরের কাছ থেকে দুই লাখ টাকা নগদ যৌতুক নেন। স্ত্রীকে ঘরে তুলে নেয়ার কিছুদিন পর ফের আরও দুই লাখ টাকা দাবি করেন ইনামুল। যৌতুকের টাকা আদায়ের জন্য স্ত্রী শীলাকে চাপ দেন তিনি। পরে ইনামুল, তার ভাই মাহবুব আলম ও ভাইয়ের স্ত্রী শার্মিলা বেগম শীলাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। শীলা খানমের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত কোরবানির ঈদের আগে বাবা এবং বড় বোনকে নিয়ে ইনামুলের বাড়িতে যান শীলা। এ সময় ইনামুলের বাবা গোলাম কুদ্দুস বলেন বউ বাড়ি এসেছে তাকে রেখে দাও। যা হওয়ার হয়েছে। এ কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে ইনামুল ও তার ভাই মাহবুব বাবাকে ঘর থেকে মারতে মারতে উঠানে নিয়ে আসেন। এ ঘটনায় সবাই স্তম্ভিত হয়ে যায়। পরে বাবা ও বোনকে নিয়ে বাড়ি ফিরে যান শীলা।
ওই ঘটনার পর বিভিন্ন সময় শীলার কাছে মোটা অংকের টাকা ও প্রাইভেটকার দাবি করেন ইনামুল ও তার ভাই মাহবুব। তা না হলে শীলাকে ঘরে তোলা হবে না বলে জানানো হয়। শীলার পরিবার দাবি পূরণে অপারগতা প্রকাশ করলে ক্ষুব্ধ হয় তারা।
এ ব্যাপারে জানতে গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইনামুল হাসানের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও রিসিভ করেননি তিনি। এদিকে, ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্দ লোপাট, আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর বরাদ্দ দিতে উৎকোচ আদায়, টিআর-কাবিখা লুটের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আছে চেয়ারম্যান ইনামুল হাসানের বিরুদ্ধে। এছাড়া গোপালপুর ও দিগনগর খেয়া ঘাটের ইজারার রাজস্ব আত্মসাৎ, ইউপি কার্যালয়ে মদ ও জুয়ার আসরের জন্য বখাটেদের কাছে কক্ষ ভাড়া দেয়া, অর্থের বিনিময়ে ভিজিডি কার্ড বিতরণে স্বজনপ্রীতির ঘটনাগুলো তদন্ত করছে ফরিদপুরের স্থানীয় সরকার বিভাগ। ফরিদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী ৩১ অক্টোবর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এসব অভিযোগের বিষয়ে শুনানি হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইউনিয়ন পরিষদের কোনো পদে না থাকলেও ইনামুলের ভাই মাহবুব আলম, তার খালাতো ভাই আবুল হাসান স্থানীয় পর্যায়ে বেপরোয়া। তারা ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্দে অযাচিত হস্তক্ষেপসহ বিভিন্ন খাত থেকে উৎকোচ ও কমিশন আদায়ে কাজ করছেন। এসব বিষয়েও তদন্ত চলছে।
আরও খবর


সর্বশেষ সংবাদ
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল হাজারী।   ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: গোলাম কিবরীয়া হাজারী বিটু্।   প্রকাশক: মোঃ ইব্রাহিম পাটোয়ারী।
সহ সম্পাদক- রুবেল হাসান: ০১৮৩২৯৯২৪১২।  বার্তা সম্পাদক : জসীম উদ্দিন : ০১৭২৪১২৭৫১৬।  সার্কুলেশন ম্যানেজার : আরিফ হোসেন জয়, মোবাইল ঃ ০১৮৪০০৯৮৫২১।  রিপোর্টার: ইফাত হোসেন চৌধুরী: ০১৬৭৭১৫০২৮৭।  রিপোর্টার: নাসির উদ্দিন হাজারী পিটু: ০১৯৭৮৭৬৯৭৪৭।  মফস্বল সম্পাদক: রাসেল: মোবা:০১৭১১০৩২২৪৭   প্রকাশক কর্তৃক ফ্ল্যাট নং- এস-১, জেএমসি টাওয়ার, বাড়ি নং-১৮, রোড নং-১৩ (নতুন), সোবহানবাগ, ধানমন্ডি, ঢাকা থেকে প্রকাশিত এবং সিটি প্রেস, ইত্তেফাক ভবন, ১/আর কে মিশন রোড, ঢাকা-১২০৩ থেকে মুদ্রিত।  বার্তা, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ০২-৪১০২০০৬৪।  ই-মেইল : [email protected], web : www.hazarikapratidin.com
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি