শিরোনাম: |
অভিযান চলবে, দুর্নীতির বিষবৃক্ষ উপড়ে ফেলা হবে
হাজারিকা অনলাইন ডেস্ক
|
আওয়ামী
লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রাষ্ট্র ও সমাজের সকল স্তর
থেকে অপরাধ নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে। দুর্নীতির বিষবৃক্ষ
সম্পূর্ণ উপড়ে ফেলে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে একটি সুশাসনভিত্তিক
প্রশাসনিক কাঠামো তৈরি করতে সরকার কাজ করছে। এজন্য চলমান অভিযানে রাজনৈতিক
ব্যক্তি ছাড়াও সরকারি কর্মচারীসহ জড়িত সকলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া
হচ্ছে। বুধবার (১৩ নভেম্বর) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। শেখ
হাসিনা বলেন, ক্যাসিনো ও দুর্নীতির সঙ্গে যেই জড়িত থাকুক না কেন তার
বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণ করা হচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকবে। ভবিষ্যতে যাতে এ
ধরনের অপরাধ কেউ করতে না পারে সে জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সবসময় তৎপর
রয়েছে। এ ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযানের পাশাপাশি কঠোর
গোয়েন্দা নজরদারিও চলছে।
তিনি বলেন, দুর্নীতি দমন করতে সরকারের পাশাপাশি দুর্নীতি দমন কমিশনও নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দুদক দুর্নীতির অনুসন্ধান, তদন্ত এবং প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। তাছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে দুদক ক্যাসিনোর সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন ব্যক্তির সম্পদের তথ্য চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বিভিন্ন দপ্তরে পত্র প্রেরণ করেছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে এরূপ অভিযান অব্যাহত রাখতে দুদক সর্বদাই বদ্ধপরিকর। বাংলাদেশের কোনো কোনো ব্যক্তি সিঙ্গাপুরে ক্যাসিনো খেলেছে, সে সম্পর্কিত তথ্য প্রেরণের জন্য দুদক সিঙ্গাপুর সরকারকে অনুরোধ করেছে। সকল দুর্নীতিবাজকে আইনের আওতায় আনতে সংস্থাটি কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতিসহ সকল ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে। এ ধরনের অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান পরিচালনা করছে। সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে ইতোমধ্যে দুর্নীতি ও অবৈধ অর্থসম্পদ অর্জনের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন ব্যক্তিকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যুতে সংসদ নেতা বলেন, রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে মিয়ানমার রাজি হয়েছে এবং একটি চুক্তিও করেছে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফেরত যেতে চাচ্ছে না। এটি এখন মিয়ানমার সরকারের ওপরই নির্ভর করছে। রোহিঙ্গারা ফেরত যাওয়ার পর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং তাদের মধ্যে সেই বিশ্বাসটি সৃষ্টি করা তাদেরই (মিয়ানমার) দায়িত্ব। |