শিরোনাম: |
৩ দাবি মানলে ক্লাসে ফিরবেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা
|
স্টাফ রিপোর্টার॥
আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের পর থেকে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। আবরার হত্যা মামলার অভিযোগপত্র দাখিলের প্রতিক্রিয়ায় শিক্ষার্থীরা বলেছেন, তিন দফা দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত তারা ক্লাসে ফিরবেন না। বৃহস্পতিবার বিকেলে বুয়েটের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী অনিরুদ্ধ গাঙ্গুলি। শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। শিক্ষার্থীদের তিনটি দাবি হলো– আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার অভিযোগপত্রের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের বুয়েট থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা, আহসানউল্লাহ, তিতুমীর ও সোহরাওয়ার্দী হলে আগে ঘটে যাওয়া র্যাগিংয়ে ঘটনায় অভিযুক্তদের অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী শাস্তি দেওয়া; সাংগঠনিক ছাত্ররাজনীতি ও র্যাগিংয়ের জন্য সুস্পষ্টভাবে বিভিন্ন ধাপে ভাগ করে শাস্তির নীতিমালা করে বুয়েটের একাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেট থেকে অনুমোদন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ডিন্যান্সে অন্তর্ভুক্ত করা। অনিরুদ্ধ বলেন, গত ২ নভেম্বর প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনায় পরবর্তী এক সপ্তাহের মধ্যে দু’টি দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস দেওয়া হয়। কিন্তু দুই সপ্তাহের মধ্যেও দাবিগুলো বাস্তবায়নে প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় ২৫ জনকে আসামি করে বুধবার আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দিয়েছে পুলিশ। ২৫ আসামির মধ্যে ২১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হচ্ছেন– মেহেদী হাসান রাসেল, মুহতাসিম ফুয়াদ, অনিক সরকার, মেহেদী হাসান রবিন, ইফতি মোশররফ সকাল, মনিরুজ্জামান মনির, মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, অমিত সাহা, মাজেদুল ইসলাম, মুজাহিদুর রহমান, তাবাখারুল ইসলাম তানভীর, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মো. জিসান, আকাশ হোসেন, শামীম বিল্লাহ, এ এস এম নাজমুস সাদাত, এহতেশামুল রাব্বি তানিম, মো. মোর্শেদ, মোয়াজ আবু হুরায়রা, মুনতাসির আল জেমি, মিজানুর রহমান, শামসুল আরেফিন রাফাত, ইশতিয়াক আহমেদ মুন্না, এস এম মাহমুদ সেতু ও মুজতবা রাফিদ। গত ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হল থেকে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পিটিয়ে হত্যা করেছে তাকে। আবরার হত্যার ঘটনায় বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন তার বাবা। পরে মামলাটির তদন্ত শুরু করে ডিবি। আবরার হত্যার প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠে বুয়েট ক্যাম্পাস। তিনি নিহত হওয়ার পর আন্দোলনে নেমে ১০ দফা দাবি তোলেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে বুয়েট শিক্ষক সমিতি ও সাবেক শিক্ষার্থীরাও একাত্মতা প্রকাশ করেন। তাদের দাবির মুখে বুয়েটে ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়। এছাড়া আসামিদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কারও করা হয়। |