শিরোনাম: |
ভাইকে আটকে রেখে মারপিট, পরে অস্ত্র দেখিয়ে বোনকে গণধর্ষণ
হাজারিকা অনলাইন ডেস্ক
|
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ষোল বছর বয়সী এক কিশোরী শ্রমিককে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণের দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে ছয় ধর্ষক। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পৃথক আদালতে ছয় আসামি গণধর্ষণের দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গতকাল সোমবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে তাদের গ্রেফতারের পর আজ মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ফতুল্লা থানার সম্মেলন কক্ষে জেলার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, গতকাল সোমবার রাতে সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার দাপা ইদ্রাকপুর এলাকায় ওই কিশোরীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে একটি ইটভাটার পাশে গণধর্ষণের ঘটনায় কিশোরীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ওইদিন রাতেই অভিযুক্ত ছয় ধর্ষককে গ্রেফতার করা হয়। তিনি আরও জানান, ধর্ষিতা ওই কিশোরী নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার গোপচর ফকিরবাড়ি এলাকায় তার চাচাতো ভাইয়ের একটি মশার কয়েল কারখানায় শ্রমিকের কাজ করে। গতকাল সোমবার কাজ শেষে সন্ধ্যায় চাচাতো ভাইয়ের সাথে ফেরার পথে ইদ্রাকপুর এলাকায় কয়েকজন বখাটে তাদের পথরোধ করে। পরে কিশোরীর ভাইকে আটক রেখে মারধর করে তার কাছে থাকা ৩ হাজার ৪০০ টাকা ছিনিয়ে নেয় তারা। পরে ওই কিশোরীকে একটি ইটভাটার পাশে টং দোকানে নিয়ে আটকে রেখে মারধর করে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ৬ জন মিলে পালাক্রমে গণধর্ষণ করে। এ অবস্থায় ওই কিশোরী অসুস্থ্য হয়ে পড়লে বখাটেরা ঘটনা কাউকে না জানানোর হুমকি দিয়ে ধর্ষিতাকে একটি অটোরিকশায় তুলে দেয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর থানার মুক্তিরকান্দি গ্রামের সিরাজ মিয়ার ছেলে রাসেল, নেত্রকোনা জেলার কালিয়াজুরি থানার লিন্সা দক্ষিনপাড়া গ্রামের মৃত. রুকু মিয়ার ছেলে সুজন মিয়া, মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর থানার বিক্রমপুর এলাকার মৃত. খোরশেদ আলমের ছেলে শাহাদাৎ হোসেন, ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল থানার বিরামপুর গ্রামের ফরিদের ছেলে সুমন, একই জেলার কেন্দুয়া থানার হরিপুর গ্রামের হাদিছুর রহমানের ছেলে রবিন এবং শরীয়তপুর জেলার জাজিরা থানার বোয়ালিয়া ফকির বাড়ির আঃ লতিফের ছেলে আল আমিন। আসামিরা প্রত্যেকেই একে অপরের বন্ধু এবং দাপা ইদ্রাকপুরসহ আশপাশের এলাকায় ভাড়া বাড়িতে বসবাস করে। |