শিরোনাম: |
শিক্ষকের ওপর ছাত্রলীগের হামলা জামা-কাপড় ছিঁড়ে লাথি-ঘুষি
|
জেলা প্রতিনিধি ॥
পূর্ব বিরোধের জেরে ছাত্রলীগ নেতা আশরাফ হোসেন হাওলাদারের নেতৃত্বে শহিদুল ইসলাম তালুকদার (৫০) নামে এক স্কুল শিক্ষকের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় জামা-কাপড় ছিড়ে ফেলে পিটিয়ে জখম করা হয় শিক্ষককে। রোববার সকালে পটুয়াখালীর বাউফলে বগা বন্দরের স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পূর্ব পাশে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতার আশরাফ হোসেন হাওলাদার বগা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি। স্থানীয়রা জানান, সকালে নিজ গ্রাম আয়লা থেকে উপজেলা আন্তঃস্কুল ও মাদরাসা ক্রীড়া সমিতির এক সভায় যোগদান করতে যাচ্ছিলেন বীরপাশা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শরীরচর্চা শিক্ষক শহিদুল। বগা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সামনে পৌঁছালে ছাত্রলীগ নেতা আশরাফের নেতৃত্বে ৬-৭ জনের একটি দল তার গতিরোধ করে মারধর শুরু করে। এসময় শিক্ষককে মাটিতে ফেলে পায়ে মাড়িয়ে ও লাঠিপেটা করে তার শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করা হয়। এ সময় শিক্ষকের পরিধেয় জামা-কাপড় ছিড়ে ফেলে তারা। পরে তাকে একটি অটোরিকশায় উঠিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হয় শিক্ষককে। স্থানীয় এক ওষুধের দোকানে থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন শিক্ষক। ভুক্তোভোগী শিক্ষক শহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন বলেন, হামলকারীদের মধ্যে বগা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আশ্রাফ আলী, সাধারণ সম্পাদক নোমান, সাংগঠনিক সম্পাদক হেলাল ও সাবেক ক্রিড়া বিষয়ক সম্পাদক মোয়াজ্জেম ছিল। তবে, অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রলীগ নেতা আশরাফ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি এলাকায় ছিলাম না। যাদের নাম বলা হচ্ছে তারাও কেউ জড়িত ছিল না। তবে জানতে পেরেছি কবুতর বিক্রির ঘটনাকে কেন্দ্র করে কয়েকজনের সঙ্গে তার ঝামেলা হয়েছে।’ এ ব্যাপারে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুর রহমান হাসান সাংবাদিকদের বলেন, ‘হামলাকারীরা ছাত্রলীগের কেউ নয়, তারা যদি ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করে কোন ঘটনা ঘটিয়ে থাকে, তার দায়ভার তাদের।’ এ বিষয়ে বাউফল থানার ওসি খন্দকার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। |