শিরোনাম: |
চাকুরীচুত পুলিশ এখন মাদক ব্যবসায়ী ও চাঁদাবাজ!
|
স্টাফ রিপোর্টার॥
নাম সাইফুদ্দিন চৌধুরী (রুপম), মিরসরাই জোরারগঞ্জ মোবারকঘোনা গ্রামের ৪ নং ধুম মহীউদ্দিন চৌধুরী (রেজা মিয়ার) পুত্র। সে বাংলাদেশ পুলিশ হতে চাকুরিচ্যুত হয়। তথ্য অনুসন্ধান করে জানা যায় পুলিশে সার্জেন্ট হিসেবে চাকুরীকালীন সময়ে সে বিভিন্ন দূর্নীতি ও দু:শ্চারিত্রিক কাজে লিপ্ত ছিল। পুলিশে চাকুরিরত অবস্থায় তৎকালীন উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা এস. পি. জনাব হুমায়ুন কবিরকে শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত করে। ২০০৫ সালে পুলিশের সার্জেন্ট পদে কর্তব্যরত অবস্থায় চট্টগ্রামে পোর্ট এলাকায় মাদক চোরাচালানের সময় এম.পি (মিলিটারি পুলিশ) এর নিকট হাতেনাতে গ্রেপ্তার হয় এবং তাকে উদ্ধারকৃত মাদকসহ তৎক্ষণাৎ থানা হাজতে সোপর্দ করা হয়। পরবর্তীতে বাংলাদেশ পুলিশ অপরাধী সাইফুদ্দিন চৌধুরী রূপমকে বরখাস্ত ও চাকুরিচ্যুত করে। পুলিশ কর্তৃক দায়েরকৃত মামলাটি বর্তমানে উচ্চ আদালতে বিচারাধীন । বর্তমানে সে একজন ফেরারী আসামি। নারী নির্যাতন, যৌতুক আদায়, স্ত্রীর বিনা অনুমতিতে পুনরায় বিবাহের কারনে প্রথম স্ত্রী আকলিমা আক্তার লিপির দায়েরকৃত মামলায় (সি. আর. কেস নং ১৭৮/২০১৪, কোর্ট নং ০২ ফেনী) সাইফুদ্দিন চৌধুরী রুপমের তিন বছরের কারাদন্ড হয়। বাংলাদেশ পুলিশে যোগদানের পূর্বে গ্রামের অতি দরিদ্র ও দিনমজুর মৃত মো: কেনু মিয়ার মেয়ে গৃহকর্মী মৃত গিন্নিকে সাইফুদ্দিন তার নিজ বাড়িতে একাধিকবার ধর্ষন করে, পরবর্তীতে অসহায় মেয়েটি আত্মহত্যা করে। ভিসেরা রিপোর্টে গিন্নি দুই মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা ছিল প্রমান পাওয়া যায়। সাইফুদ্দিন রুপম ও তার পরিবার তৎকালীন প্রশাসনকে অন্যায়ভাবে ব্যবহার করে এবং তথ্য গোপনের মাধ্যমে মামলাটিকে প্রভাবিত করে ধর্ষন ও আত্মহত্যার মামলার রিপোর্ট পরিবর্তন করে এবং দ্রুততার সাথে সবকিছু ধামাচাপা দেয়। সাইফুদ্দিন তার পিতার কাছে রক্ষিত জমি বিক্রিত অর্থ চাচা-ফুফুদের বিশ লক্ষ টাকা ভয়ভীতি দেখিয়ে পিতার থেকে ছিনতাই করে। সাইফুদ্দিন ২০১১ সালে প্রায় ৯০ বছর বয়সী অসুস্হ দাদী হতে জোরপূর্বক প্রায় কোটি টাকা মুল্যের দুই একর জমি হেবা দলিলে রেজিস্ট্রি করিয়ে নেয়। পরবর্তীতে রুপমের পিতসহ চাচাগন, ফুফুগন সকলে মোট সাত জন বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। সাইফুদ্দিন রুপম ইয়াবা ও মাদকাসক্ত এবং এতটাই নেশাগ্রস্ত, অসুস্হ চরিত্রের যে সে নিজ বাড়ির মসজিদের সামনের ঈদগাহের মিনার ভাঙ্গে, পার্শ্ববর্তী এলাকার লাইব্রেরী ঘর ভাঙ্গে এবং রড, অন্যান্য সামগ্রী বিক্রি করে নেশার টাকা জোগাড় করে। বর্তমানে পুলিশের পুরাতন আইডি কার্ড ব্যবহার করে ইয়াবা, মাদক চোরাচালান, চাঁদাবাজি, জমি দখল, সন্ত্রাস ইত্যাদি অপরাধে জড়িত থাকায় দেশের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী এই সন্ত্রাসী সাইফুদ্দিন রুপমকে খুঁজছে। অতি সম্প্রতি সাইফুদ্দিন রুপম তার বয়োজ্যেষ্ঠ চাচার জমির ফসলের উপর চাঁদাবাজি করতে গিয়ে চাচাকে প্রথমে কয়েক দফায় লাঠি, বাঁশ দিয়ে মারধর করে, এবং নিরুপায় চাচা তাকে বারবার নিষেধ করার পরও এক পর্যায়ে চাচাকে পশুর মত দাঁত দিয়ে কামড়িয়ে রক্তাক্ত করে, যা তার মাদকাসক্ত বিকৃত মানসিকতার বহি:প্রকাশ। নিজের জীবন বাঁচাতে হাতের কাছে পাওয়া একটি কাস্তে দিয়ে এই জালিম সন্ত্রাসী সাইফুদ্দিনের শরীরে আঘাত করে এবং ঘটনাস্হল ত্যাগ করে নিজের জীবন বাঁচাতে সক্ষম হন। এই সন্ত্রাসীর নির্দেশে তার সহযোগীরা গোলকেরহাট মেহেরুন্নেসা ফয়েজ উচ্চ বিদ্যালয় স্কুলের নবম শ্রেনীতে পড়ুয়া চাচার ছেলেকে পরীক্ষারত অবস্থায় স্কুল থেকে অপহরন করে। পরবর্তীতে জোরারগঞ্জ পুলিশ ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এর সহযোগীতায় ছেলেটিকে উদ্ধার করে থানা হাজতে রাখা হয়, পরবর্তীতে রাত ১১টায় ছেলেটিকে তার পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়। চাঁদাবাজ, ভুমিদস্যু, ধর্ষক, মাদক চোরাচালানী, সন্ত্রাসী ইত্যাদি চরিত্র আড়ালের জন্য সাইফুদ্দিন সব সময়ই সুবিধামত রাজনৈতিক দলের নেতাদের সাথে সেলফি তুলে নিজেকে ক্ষমতাবান দাবী করেন। |