শিরোনাম: |
প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে ভাইকে গলাকেটে হত্যা
হাজারিকা অনলাইন ডেস্ক
|
ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মানসিক ভারসাম্যহীন ফুফাতো ভাইকে গলাকেটে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন মো. বিল্লাল। রোববার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে গতকাল শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার সাচড়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের একটি কাচা রাস্তার উপর থেকে মো. নাছির উদ্দিন ওরফে নসু মিয়ার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ওইদিন বিকেলে তার মামাতো ভাই মো. বিল্লাল প্রতিপক্ষ মোকাম্মেল নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে এ ঘটনায় হত্যা মামলা করতে থানায় আসেন। এ সময় তার কথাবার্তা সন্দেহজনক হওয়ায় পুলিশ তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বিল্লাল নিজে নসুকে হত্যার কথা স্বীকার করে। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি ও রক্তমাখা জামা উদ্ধার করে পুলিশ। বোরহানউদ্দিন থানার সেকেন্ড অফিসার ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোহাইমিনুল ইসলাম জানান, মানসিক ভারসাম্যহীন নাছির উদ্দিন ওরফে নসু লালামোহন উপজেলার মহেশখালী গ্রামের মো. সামসুদ্দিনের ছেলে। সে মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় তার কোনো স্থায়ী বসবাসের জায়গা ছিলো না। গত কয়েক দিন ধরে নসু তার নানা বাড়ি বোরহানউদ্দিনের সাচড়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের দেউলা শিবপুর গ্রামে আসে। এদিকে বিল্লাল তার ভারসাম্যহীন ফুফাতো ভাই নাছির উদ্দিন ওরফে নসুকে গ্যাস্টিকের ওষুধের নাম করে ঘুমের ওষুধ খাওয়ায়। পরে তাকে ডেকে নিয়ে যায় বাড়ির পাশে একটি বিলের মধ্যে। সেখানে নিয়ে নসুকে প্রথমে পেছন থেকে মাথায় আঘাত করে মাটিতে ফেলে দেয়। পরে সে অজ্ঞান হয়ে পড়লে ছুরি দিয়ে তার গলাকেটে হত্যা করে বাড়ি চলে আসে। বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মু. এনামুল হক বলেন, নাছির উদ্দিন নসু হত্যার ঘটনায় তার মামা জিয়াউল হক বাদি হয়ে বিল্লাল ও অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেছেন। |