শিরোনাম: |
শার্শায় সেই গৃহবধূ ধর্ষণে পুলিশ কর্মকর্তা জড়িত নন: পিবিআই
হাজারিকা অনলাইন ডেস্ক
|
যশোরের শার্শায় আলোচিত সেই গৃহবধূ ধর্ষণের ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি পুলিশ কর্মকর্তা খায়রুলের। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে যশোর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম কে এইচ জাহাঙ্গীর হোসেন একথা জানান। এ সময় তিনি বলেন, বাদীর অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেপ্তারকৃত তিনজন আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হয়। তাদের মধ্যে একজন আসামি আদালতে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এছাড়া আটককৃত অপর তিন আসামির ডিএনএ পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়। তিনি আরও জানান, স্বীকারোক্তি দেওয়া আসামি বাদীর পূর্ব পরিচিত এবং পারিবারিকভাবে তাদের মধ্যে সম্পর্ক ছিল। এ ঘটনার সঙ্গে গোড়পাড়া ক্যাম্পের আইসি সাব ইন্সপেক্টর খায়রুল আলমের জড়িত থাকার বিষয়টি প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়নি। এ ঘটনায় অন্য এক ব্যক্তির সম্পৃক্ততা পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে পুলিশি প্রতিবেদন দাখিলের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। গেল বছরের দুই সেপ্টেম্বর যশোরের শার্শা উপজেলার লক্ষণপুর এলাকায় দুই সন্তানের জননী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন বলে অভিযোগ করেন। এ ঘটনায় পরদিন দুই সেপ্টেম্বর শার্শা থানায় পুলিশের এসআই খায়রুল আলম ও সোর্স কামরুজ্জামান ওরফে কামরুলসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে শার্শা থানায় একটি মামলা করেন ওই গৃহবধূ। পরবর্তীতে মামলাটি পিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
|