শিরোনাম: |
যুবলীগের নিখিলকে করোনা রোগী বানাচ্ছে কারা?
|
জয়নাল হাজারী ॥
কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নিখিল এখন স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি আছে। সে ভর্তি হয়েছে পিত্তথলিতে পাথর অপসারণের জন্য। পিত্তথলিতে পাথরের জন্য সে অনেক আগে থেকেই সমস্যায় ছিল। কাজের চাপে হাসপাতালে যেতে পারেনি। গত দুই দিন আগে অতিরিক্ত ব্যথার কারণে সে হাসপাতালে ভর্তি হতে বাধ্য হয়। তার জরুরি অপারেশন প্রয়োজন কিন্তু পরীক্ষা-নিরীক্ষার দীর্ঘসূত্রার জন্য এখনো অপারেশন হয়নি। এদিকে হাসপাতালেও করোনার কারণে অনেক জটিলতা তার মধ্যে ডাক্তার স্বল্পতা অন্যতম। যেহেতু বলা হচ্ছে শতকরা ২০জনের মধ্যে করোনা শুপ্ত থাকে কোন উপসর্গ প্রকাশ পায়না। সে জন্য এখন প্রত্যেক হাসপাতালে সকল রুগিকেই প্রথমে করোনার পরীক্ষা নিয়ে নিশ্চিত করা হয় রুগিটি করোনামুক্ত। এটি একটি জটিল প্রক্রিয়া। সেদিন নারায়ণগঞ্জে ডাক্তারদের এক সভায় শামিম ওসমান হৃদয়নিঘ্রানো এক ভাষণে কাকুতি-মিনতি করে অনুরোধ করেছে আপনারা দয়া করে অন্য রোগীকে করোনা রোগী বানাবেন না এবং অন্যসব রোগেরও আন্তরিক চিকিৎসা প্রদান করুন। অন্য রোগেও অবেহেলার কারণে অনেক বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে। শামিম ওসমানের এই আকুতির কারণে কিছু কাজ হয়েছে কিনা আমি জানি না। তবে সে সময় উপযোগী বাস্তব কথাটাই বলেছিল। অন্যদের কথা বাদই দিলাম, নেত্রীর অতি প্রিয় এবং কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হয়েও মনে হচ্ছে যেন নিখিলও সঠিক চিকিৎসা পাচ্ছে না। সকল তরফ থেকেই হাসপাতালে ভিড় করতে নিষেধ করা হয়েছে। এই সুযোগেই এক শ্রেণীর লোক প্রচার করছে যে নিখিল করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত করোনার কোন লক্ষণ তার মধ্যে দেখা যায়নি। জরুরি ভিক্তিতে অপারেশন করে তার পিত্তথলির পাথর অপসারণ করতে হবে। এই পাথরের কারণে সে ব্যথায় কাতর হয়ে গেছে। ব্যথা দূর করার জন্য তাকে দেয়া হয়েছে করা সব বেদনা নাশক ঔষধ। এই ঔষধগুলো শরীরের অন্য অংশে ক্ষতি করে থাকে। নিখিল একজন কিন ইমেজ ও দক্ষ সংগঠক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। সেই কারণেই নেত্রী তাকে ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি থেকে কেন্দ্রী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক করেছেন। অন্য একটি কারণ হলো রাজনীতিতে নতুন ব্যক্তিত্ব পরশকে ভালভাবে পথ দেখাতে পারে। ইতিমধ্যেই পরশ এই নিখিলের আচার-আচারণ ও কর্মকাণ্ডে খুবই খুশি। পরশ যুবলীগ থেকে চাঁদাবাজ অপসারণের ব্যাপারে খুবই সক্রিয়। চাঁদাবাজরা তাকে মোটেই পছন্দ করে না। ইতিমধ্যে উত্তর যুবলীগের এক চাঁদাবাজকে দল থেকে বাদ করে দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছিল পরশ ও নিখিল। বিষয়টি ঐ ব্যক্তি জানতে পেরেছে। সেই ব্যক্তি প্রথম থেকেই বলে যাচ্ছে নিখিল করোনায় আক্রান্ত। আমার বলতে লজ্জা লাগছে যে ঐ ছেলেটির বাড়ি ফেনীতে। আমি মনে করি এই সময়ে যারা গুজব ছড়ায় তারা জাতির শত্রু। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় রাজাকারেরা যেমন তেমনি বর্তমান যুদ্ধের সময় গুজব রটনাকারীরাও তেমন। টেলিফোনে নিখিলের খোঁজ-খবর নেয়ার চেষ্টা করেও সাংবাদিকরা পর্যন্ত খানিকটা ব্যর্থ হয়েছে। আমি আমার ব্যক্তিগত সূত্র থেকে যে তথ্য সংগ্রহ করেছি তাতে এটা শতভাগ নিশ্চিত যে নিখিল করোনায় আক্রান্ত নয়। এখন প্রয়োজন গুজব ছড়ানো ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সকলের কঠোর অবস্থানে যাওয়া। |