শিরোনাম: |
চালাও গুলি কোন কথা নাই
|
জয়নাল হাজারী ॥
করোনা প্রতিরোধে সকল মহলকে ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে সকল মাধ্যম। সরকার প্রধান শেখ হাসিনাও বারবার মানুষকে ঘরে থাকার অনুরোধ করেছে কিন্তু কোন কিছুতেই তেমন কোন কাজ হচ্ছে না। বাইরে আসা বন্ধ করার জন্য সামরিক বাহিনীও আপ্রাণ চেষ্টা করে চলছে কিন্তু তাতেও শতভাগ ফল পাওয়া যাচ্ছে না। সামরিক বাহিনীর ভদ্রতাকে অনেকেই দুর্বলতা ভাবছে। সেজন্যই বলতে হচ্ছে চালাও গুলি কোন কথা নাই। খাওয়ার অভাবে মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছে বিষয়টা অবশ্যই সেই পর্যায়ে যায় নাই। তবও রাস্তায় মানুষের অভাব নাই। গুরুত্বহীন কাজেও মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে যাচ্ছে। মানুষের বাইরে আসার এই প্রবণতা দেশ ও জাতির কতটা ক্ষতি করছে তা অনেকেই অনুধাবন করতে পারছে না। একজন লোক সে যখন নিয়ম ভঙ্গ করছে সে তখন নিজেরও এবং তার পরিবারের মৃত্যু ডেকে আনছে এটা বুঝতে পারছে না। এটা বোঝানোর জন্য সাংবাদিকরা, সরকার এবং বিদগ্ধজনেরা আপ্রাণ চেষ্টা করেছে কিছুই ফলপ্রসূ হচ্ছে না। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত এবং সৌদি আরব কারফিউ জারি করেছে। কারফিউ মানে দেখা মাত্র গুলি। ফলে সেখানে তারা অনেকটাই সফল হয়েছে। আমাদের দেশে এখনো কারফিউ জারি করা হয়নি। তবে ধারণা করা যায় কঠোর কারফিউ জারি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে, এর কোন বিকল্প নাই। ভিড়ভাট্টা বা সমাগম পরিহার করার জন্য প্রয়োজনে গুলি চালাতে হবে। অনেকেই ভাবতেই পারেন এটা মানবতাবিরোধী কথা। আসলে ১০০জনকে রক্ষার জন্য প্রয়োজনে ১জনকে গুলি করা মানবতাবিরোধী কিছু নয়, বরং এটাই মানবিক। চীনে এই পন্থা অবলম্ভন করে করোনার অভিশাপ থেকে আপাতত মুক্তি পেয়েছে। ইতিমধ্যে যারা রিলিপ দেয়ার নামে হাজার হাজার মানুষকে এক জয়গায় জড়ো করেছে তাদের বিরুদ্ধে সরকারকে কঠোর অবস্থানে যেতে হবে। কয়েকদিন আগে ফেনীতেই রিলিপ বন্টনের নামে হাইস্কুল ও কলেজমাঠে শতশত লোককে জড়ো করা হয়েছিল। নেতারা তাদের জনপ্রিয়তা প্রমাণ করবার চেষ্টা করেই এটা করেছে কিন্তু ওরা জানে না কোন রাজাকারও যদি কোথাও রিলিপ দেয়ার ঘোষণা করে সেখানে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হবে। রিলিপ নিতে গিয়ে অনেক মানুষের মৃত্যু হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। প্রথম দিকে গোপন থাকলেও এখন প্রকাশ পেয়েছে চায়নাতে কয়েকটি গ্রাম পশু-পাখি, গাছপালা ও মানুষকে সম্পূর্ণরূপে জ্বালিয়ে দিয়েছে। পুরো দেশকে বাঁচানোর জন্য তারা কয়েকটি গ্রাম ধ্বংস করেছে। এভাবেই কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়ে আপাতত দেশটিকে স্বস্থিও জায়গায় এনেছে। আমাদের দেশে যদিও ধীর গতিতে কিন্তু সংক্রমণ বাড়ছে বৈ কমছে না। সুতরাং আমাদেরকেও চায়নার মত কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েই দেশ ও জাতিকে বাঁচাতে হবে। মূল কথা হচ্ছে রাস্তায় যাতে মানুষ বের না হয় বা ঘরের বাইরে না আসে সে ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর অবস্থানে যেতেই হবে। সমালোচকরা বা মানবতাবাধীরা যাই বলুক দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে অবশ্যই গুলি চালাতেই হবে। নিজের দেশের মানুষের উপর গুলি চালাতে নিজেদের সৈনিকদেরও ভাল লাগবে না। কিন্তু উপায় নাই, দেশকে বাঁচাতে হবে, জাতিকে রক্ষা করতে হবে আর সেই কারনে কোন কিছু এদিক ওদিক চিন্তা না করে চোখ বন্ধ করে গুলি চালাতে হবে। সমাবেশ বন্ধ করতে হবে। মানুষকে ঘরে ঢুকাতে হবে। ইতিমধ্যে এক গার্র্মেন্টস মালিক শ্রমিকদের কাজে যোগ দেয়ার আহ্বান করেছিল। সেই কারণে পায়ে হেটে বিভিন্ন কারখানার হাজার হাজার শ্রমিক ঢাকায় প্রবেশ করেছে। সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে যারা এই নিষ্ঠুর সিদ্ধান্তটি দিয়েছে তাদেরকে অবশ্যই কঠোর শাস্তির আওতায় আনতে হবে। এদেরকে ক্ষমা করলে আমরা করোনার সঙ্গে যুদ্ধ করে জয়লাভ করতে পারব না। মানুষকে ঘরে রাখতে কোন বিকল্প থাকলে সেটাও কাজে লাগানো যায় কিন্তু বাংলাদেশের প্রক্ষাপটে চোখ বন্ধ করে গুলি চালানো ছাড়া আমি আর অন্য কোন বিকল্প দেখি না। তাই বলি সকল পদক্ষেপকে অমান্য করে যারা ঘরের বাইরে আসছে এবং দেশ ও জাতির সর্বনাশ ডেকে আনছে তাদেরকে চোখ বন্ধ করে কেবলই গুলিও আওতায় আনতেই হবে। এর কোন বিকল্প আপাতত নাই। আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধে গোলাগুলি করেই জয়লাভ করেছি, মনে হয় এই যুদ্ধেও জয়লাভ করার জন্য গোলাগুলি করতেই হবে। লেখক উপদেষ্টা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও সাবেক সংসদ সদস্য। |