শিরোনাম: |
পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গা ঠেকাতে পারবে তো!
|
![]() মিয়ানমার সরকার আবারো আরাকান থেকে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে ঠেলে দেয়ার একটি পরিকল্পনা করেছিল। তাদের এই পরিকল্পনা এখনো বাতিল হয় নাই। বাংলাদেশ পূর্বেকার রোহিঙ্গাদের নিয়েই নিদারুন হিমশিম খাচ্ছে। এখন যদি আরো রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করে তবে তা হবে বাংলাদেশের জন্য আত্মঘাতি। অতীতে মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের জায়গা দিলেও এখন কোন কারণেই সেটি সম্ভব নয়। কয়েকদিন আগে আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অত্যন্ত জোরালোভাবে বলে দিয়েছেন আমাদের পক্ষে আর কোন রোহিঙ্গাকে জায়গা দেয়া সম্ভব নয়। শুধু মুখে বলেই খান্ত হলে চলবে না। রোহিঙ্গা ঠেকানোর জন্য কঠোর প্রস্তুতি থাকতে হবে। জীবনপন লড়াই করে হলেও এদেরকে এবার ঠেকাতেই হবে। করোনার যুদ্ধেও আমরা জয়লাভ করবো কিন্তু রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ সেটাকে খুবই বাধাগ্রস্ত করবে। সেই কারণেই বিষয়টিকে অত্যন্ত জরুরি বিষয় হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। ইতিপূর্বে ইউরোপ থেকে ফাইট বন্ধ রাখার চেষ্টা তিনি করেছিলেন কিন্তু তাতে তিনি সফল হতে পারেননি। এই কথাটি তিনি নিজেই বলেছেন। কিন্তু এবার তাকে সফল হতেই হবে। পারিবনা এই কথাটি বলিও না আর। এর বাইরে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আমাদের আর বলার কিছু নেই। এবার কিছুদিন আগে রোহিঙ্গা বিষায়ক যেই প্রতিবেদনটি আমরা এই কলমে প্রকাশ করেছিলাম আজ আবার তা তুলে ধরলাম। রোহিঙ্গা আসছে, আমাদের কি হবে? রোহিঙ্গা নামে বর্গিরা আসছে আমরা পালাবো কোথায়? খবরে প্রকাশ আবারে মিয়ানমার সরকার বিপুল পরিমান রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। বিষয়টি খুবই উদ্বেগজনক। ইতিপূর্বে আসা রোহিঙ্গাদের নিয়ে সরকার বিভ্রত। চট্টগ্রামের বিভাগের মানুষ মহাসংকটে। তার উপরে যদি বাংলাদেশে আরো রোহিঙ্গার আগামন ঘটে সেটি আমাদের জন্য আত্মঘাতি হবে। আগে যারা এসেছিল তাদের ভরন-পোষণ করতেই অনেক কষ্ট সইতে হয়েছে। বিপুল পরিমান মানুষের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা খুবই কঠিন কাজ। সেই কারনেই রোহিঙ্গাদের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব সামরিক বাহিনীকে দেয়া হয়েছে। তারপরও ওরা লোকলয়ে ঠুকে পড়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটিয়েছে। ওদের থেকে হাজার হাজার নারী-পুরুষ সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া-সিংঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনামসহ বিভিন্ন দেশে পাড়ি দিয়েছে। হাজার হাজার রোহিঙ্গা সমুদ্রেই মৃত্যুবরণ করেছে। এরা যেখানেই গেছে সেখানেই সমস্যা তৈরি করেছে। আমাদের দেশে কয়েকজন স্থানীয় মানুষকে হত্যা করেছে। এরা ডাকাতি করতে গিয়ে ধরা পড়েছে। এরা বার বার ইয়াবাসহ ধরা পড়েছে। এদের কাছে অস্ত্র পাওয়া গেছে। এরা মহাসমাবেশ করে ঘোষনা করেছে যেখানে তারা আছে সেটি তাদের নিজস্ব জায়গা। মোট কথা ওরা কক্সবাজারসহ ফেনীনদী পর্যন্ত এলাকাকে আরাকান রাজ্য মনে করে স্বাধীনতা চায়। সুতরাং আগের যারা ছিল তাদের নিয়েই সংকটের শেষ নেই। এখন যদি আরো রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করে তবে তা বাংলাদেশে করোনার চাইতেও বড় সংকট সৃষ্টি করবে। এটা কিছুতেই হতে দেয়া যায় না। মানবতার কথা বলে আগে তাদের রক্ষা করা হলেও এখন মানবতার খাতিরেই ওদেরকে ঠেকাতে হবে। এটা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বড় ধরনের একটি ষড়যন্ত্র। রোহিঙ্গাদের আগমন যত কঠিনই হোক ঠেকাতেই হবে। এর কোন বিকল্প নেই। এটা বাংলাদেশের অস্থিত্বের প্রশ্ন। নাফনদীর পুরো সীমান্তটাই বিজিবি মোতায়েন করতে হবে। কোনভাবেই একজন রোহিঙ্গাকেও বাংলাদেশে আসতে দেয়া যাবে না। যদি কিছু ভুল সিদ্ধান্ত হয় তবে তার খেসারত দিতে হবে কঠিন ক্ষতির মাধ্যমে। তাই সরকারকে এখন মানবতা দেখানোর কোন সুযোগ নেই। এখন কঠোর হতে হবে, যেকোন মূল্যে ওদের ঠেকাতেই হবে। লেখক উপদেষ্টা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও সাবেক সংসদ সদস্য। |