শিরোনাম: |
ব্যক্তিগত গাড়ি ও মাইক্রো ভাড়া করে ঢাকা ছাড়ছে মানুষ
হাজারিকা অনলাইন ডেস্ক
|
![]() বরিশালের গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার জন্য যাত্রাবাড়ি থেকে প্রাইভেট কার ভাড়া করেছেন মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, ঈদ করতে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছি। আমরা তিনজন মিলে ১৫ হাজার টাকা মাইক্রোবাসটি ভাড়া করেছি। টাকা একটু বেশি খরচ হচ্ছে, তারপরও পরিবারের সবার সঙ্গে মিলে ঈদ করতে পারবো এটাই বড় কথা। যাত্রাবাড়ি থেকে নোয়াখালীর গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা করা করিম বলেন, আমরা চারজন মিলে ১২ হাজার টাকা দিয়ে গাড়িটি ভাড়া করেছি। ভাড়া অনেক বেশি, তারপরও বাড়িতে যেতে পারছি এটাই বড় কথা। তবে পরিবহন চললে আমাদের এতো টাকা খরচ হতো না। তিনি বলেন, ঢাকায় অনেক দিন ধরেই বন্দী জীবন কাটাচ্ছি। কতদিন হয়ে গেছে বাবা-মা, ভাই-বোনের মুখ দেখতে পায় না। সবাই পথের দিকে চেয়ে আছে, কবে বাড়ি যাবো। যত কষ্টই হোক বাড়িতে গিয়ে বাবা-মায়ের হাসি মুখ দেখলেই, সব কষ্ট দূর হয়ে যাবে। করোনার ভয় করছে না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভয় তো করছেই। তারপরও এভাবে আর কতদিন থাকা যায়? তাই আল্লাহর ওপর ভরসা রেখে বাবা-মায়ের কাছে যাচ্ছি। এদিকে গণপরিবহন না চললেও অনেকে যাত্রাবাড়ি ও সায়দাবাদের বিভিন্ন পরিবহনের কাউন্টারের আসছেন। তাদের পাশাপাশি পরিবহন শ্রমিকরাও সায়দাবাস টার্মিনাল অঞ্চলে ঘোরাঘুরি করছেন। সায়েদাবাদ টার্মিনালের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মালেক নামের একজন বলেন, ঈদ করতে কুমিল্লার গ্রামের বাড়ি যাবো। সকাল থেকে অপেক্ষায় আছি, যদি কোনা সুযোগ পায় চলে যাবো। এভাবে ঢাকায় পড়ে থাকতে আর ভালো লাগছে না। মাইক্রোবাস ভাড়া করে আমাদের পক্ষে যাওয়া সম্ভব না। তাই ট্রাক, কাভার্ডভ্যানের অপেক্ষা করছি। সায়েদাবাদ টার্মিনালের পাশে ঘোরাঘুরি করা পরিবহন চালক শহিদ নামের একজন বলেন, মানুষ মাইক্রোবাস, প্রাইভেট কারে করে বাড়ি যাচ্ছে। কিন্তু আমাদের পরিবহন চালাতে দেয়া হচ্ছে না। মালিক পক্ষ থেকেও আমাদের কোনো সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে না। আমরা দুর্বিষহ জীবন কাটাচ্ছি। বৃহস্পতিবার রাতে সরকারের উচ্চমহল থেকে পুলিশের প্রতি নির্দেশনা আসে, ছুটিতে জরুরি কাজের জন্য কেউ যদি গ্রামের বাড়ি ফিরতে চায় তাহলে তাদের যেন অনুমতি দেয়া হয়। তাদের যেন খুব বেশি হয়রানি বা প্রশ্নোত্তরের শিকার না হতে হয়। তবে গণপরিবহন চলবে না। |