শিরোনাম: |
আম্ফান আঘাত আনার দুদিন পরেও বেশিরভাগ এলাকায় বিদ্যুৎ নেই
হাজারিকা অনলাইন ডেস্ক
|
সুপার সাইক্লোনে রূপ নেয়া ঘুর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ ঝিনাইদহে আঘাত আনার দু’দিন পরও জেলার বেশিরভাগ এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। বৃহস্পতিবার (২১ মে) সকালে দমকা হাওয়া ও বৃষ্টিপাত শুরু হলে পুরো জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়। শহরের কিছু এলাকায় রাতে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হলেও গ্রামাঞ্চল এখনও অন্ধকারে রয়েছে। এতে জনজীবনে নেমে এসেছে দুর্ভোগ। জেলার বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঝড়ের তাণ্ডবে পল্লী বিদ্যুতের প্রায় দু’শ পোল ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) ৩০টি পিলার ভেঙে পড়েছে। এছাড়াও তার ছিঁড়ে সঞ্চালন লাইনগুলো বন্ধ হয়ে গেছে।
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার রুহুল আমিন জানান, বুধবার থেকে এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গেছে। তিনি বলেন, আজ দুইদিন পার হয়ে গেল বিদ্যুৎ অফিসের কোনো লোকজন খোঁজ নিতে এল না। সোহেল রানা নামের আরেকজন বলেন, বিদ্যুৎ না থাকায় ফ্রিজে রাখা খাবার নষ্ট হচ্ছে। মোবাইল ফোনে চার্জ দিতে না পারায় বন্ধ রয়েছে মোবাইল। ফলে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না কেউ। শৈলকুপা উপজেলার হাসমত আলী জানান, বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় মোবাইলের নেটওয়ার্ক ব্যবস্থাও ভেঙে পড়েছে। পাশাপাশি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরাও বিপাকে পড়েছেন। ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার ফুলহরি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জামিনুর রহমান বিপুল বলেন, ঝড়ের পর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। অনেক স্থানে গাছ পড়ে তার ছিঁড়ে গেছে। লাইন স্বাভাবিক করতে সময় লাগবে। এক্ষেত্রে বিদ্যুৎ অফিসের লোক সংকট হলে বিভিন্ন এলাকা থেকে অস্থায়ী লোক নিয়োগ করে দ্রুত লাইন মেরামত করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। ঝিনাইদহ পল্লী বিদ্যুতের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) ইসাহাক আলি জানান, এখন পর্যন্ত ৩০ ভাগ বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়েছে। লাইন মেরামতের কাজ চলছে। আশা করি, খুব শিগগিরই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। ঝিনাইদহ ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের নির্বাহী প্রকৌশলী পরিতোষ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ঝিনাইদহ সদর, কালীগঞ্জ ও কোটচাঁদপুর শহরে বিদ্যুৎ চালু করা হয়েছে। শৈলকুপা ও মহেশপুর শহরে চালু করা যায়নি। কাজ চলছে। আশা করি, দ্রুত সেখানে বিদ্যুৎ চালু করতে পারব। |