শিরোনাম: |
ফেনীতে দুই শ্রমিক নিহত হওয়ার মামলায় আসামীদের এখনো গ্রেফতার করেনি পুলিশ
|
ফেনী প্রতিনিধি ॥
ফেনীর বালিগাঁও ইউনিয়নের চর হকদি ছোট ফেনী নদীর মাটি কেটে নিয়ে যাওয়া মাটি বহনকারী ট্রাক্টর চাপায় পিষ্ট হয়ে দুই শ্রমিক নিহত হওয়ার ১৫ দিন অতিবাহিত হলেও এখনো পর্যন্ত কোনো আসামীকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।উল্টো পুলিশের সাথে যোগাযোগ করে মামলাটি ধামাচাপা দেওয়া চেষ্টা করছে মাটি কাটার সিন্ডিকেটেরা। নিহতদের স্বজনরা জানায়, মামলার আসামিরা প্রকাশ্যে এলাকায় ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছে না। তাদের ধারণা পুলিশ ম্যানেজ হয়ে যাওয়ায় আসামীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না। স্থানীয় লোকজন সুত্রে জানা যায়,চর হকদি গ্রামে ছোট ফেনী নদীর খননের মাঁটি বিক্রি করছে উত্তর হকদি গ্রামের ছাত্রলীগ নেতা বেলাল, হেলাল, মহি উদ্দিনও সেলিমের সেন্ডিকেট। ১৮ এপ্রিল সকালে মাটি কাটার সময় ট্রাক্টর চাপা পড়ে আবদুল আজিজ ও ইমাম হোসেন কানন পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যায়। তাৎক্ষনিক মাটি কাটার কাজে জড়িতরা লাশ রেখে গাড়ী নিয়ে পালিয়ে যায়। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্হল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করে। পুলিশ সুত্রে জানা যায়, আবদুল আজিজ নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা উপজেলার নাজিরপুর গ্রামের বাসিন্দা। অপর নিহত ইমাম সুনামগঞ্জ জেলার মধ্যমনগর গ্রামের দ্বীন মোহাম্মদের ছেলে। স্থানীয় আরো একটি সূত্র জানায়, মাঁটি কাটার জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক বাহারকে ম্যানেজ করে তার কাছ থেকে লিখিত অনুমতি নিয়ে হকদির আবদুর রউফের ছেলে নুর আলম। পরে ছাত্রলীগ নেতা বেলাল তার লোকজন ও হেলাল, মহি উদ্দিন ও নেতা সেলিম গত কয়েক মাস ধরে প্রতিনিয়ত ট্রাক্টরের মাধ্যমে ফসলী জমির মাটি ও নদী খননের মাটি বিক্রি করছে। এতে গ্রামীণ জনপদের রাস্তা ও সড়ক গুলো নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়েছে। চেয়ারম্যান বাহার কে এলাকার স্থানীয়রা বার বার অভিযোগ করে জানালে ও কোন প্রতিকার পায়নি স্থানীয়রা। অন্য দিকে স্থানীয় লোকজন মাটি কাটার সেন্ডিকেট বেলাল ও তার লালিত সন্ত্রাসীদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় স্থানীয় লোকজনকে হুমকি ধুমকি প্রদান করে যাচ্ছে। মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা এস.আই আনোয়ার হোসেন জানান, গাড়ির চালক ও মাটির ঠিকাদার সেলিমসহ দুইজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিদের কে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। |