মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, 2০২4
করোনা: নিজ প্রতিষ্ঠানেই চিকিৎসা পেলেন না চিকিৎসক!
হাজারিকা অনলাইন ডেস্ক
Published : Tuesday, 2 June, 2020 at 9:58 AM

বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না ম্যাক্স হাসপাতালের। এবার করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত নিজেদের এক চিকিৎসককে হাসপাতালে চিকিৎসা না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে চট্টগ্রামের এই বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে। সোমবার (১ জুন) লৎফুল কবির শিমুল নামে ম্যাক্স হাসপাতালের একজন চিকিৎসক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে এই অভিযোগ করেন। তবে চিকিৎসা না দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন ম্যাক্স হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বেসরকারি হাসপাতাল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডা. লিয়াকত আলী। অভিযোগকারী চিকিৎসক ডা. লৎফুল কবির শিমুল ফেসবুকে তার স্ট্যাটাসে লিখেছেন- ‘অপ্রিয় সত্যকথন কেউ আঘাত পেলে পাক। আমি তখন খুবই অসুস্থ। অক্সিজেন স্যাচুরেশন ৯০ এর নিচে নেমে যাচ্ছে। প্রথম কোভিড টেস্ট নেগেটিভ আসার পরেও দ্রুত স্যাচুরেশন নেমে যাওয়ায় আমি চিন্তা করছিলাম এটা কোভিড হতে পারে।

আমি জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি হওয়ার ব্যাপারে একটু দ্বিধাগ্রস্ত ছিলাম। চিন্তা করলাম আমার হাসপাতালের (ম্যাক্স হাসপাতাল) কেবিনে ভর্তি হয়ে অক্সিজেন নেব। পরে আরেকটি স্যাম্পল আসলে চমেক বা জেনারেলে ভর্তি হবো। ঐ প্রতিষ্ঠানের এমডি মিথ্যা কথা বলে আমাকে ভর্তি নিতে চাইলেন না। বিক্ষিপ্ত এবং এলোমেলো কথা বলে ফোন কেটে দিলেন। একটা অক্সিজেন সিলিন্ডারও দিলেন না।

পরবর্তীতে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বাসায় অক্সিজেন পাঠালেন। আইভি ক্যানুলেশন করালাম ওখানে। ওনারা কেবিনও প্রস্তুত রেখেছিলেন আমার জন্য। যদিও ওখানে ভর্তি হইনি। পরদিন চমেকে ভর্তি হলাম।’ স্ট্যাটাসে তিনি চমেক হাসাপাতালে চিকিৎসা সেবা দেওয়া চিকিৎসক ও নার্সদের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে লেখেন, আমি পাপী বান্দার জন্য এতো মানুষ দোয়া করেছেন যে, আমি বাকরুদ্ধ। তবে কয়েকটি কৃমি কীটকে আমি ক্ষমা করে দিতে চাই। করোনা মানুষ চেনাবে। করোনার শিক্ষা যদি বেঁচে থাকি কাজে লাগাবো।’ এই বিষয়ে ডা. লুৎফুল কবির শিমুলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে এই মুহুর্তে কথা বলতে আমি ইচ্ছুক নই। কারণ আমি এখনও অসুস্থ। পুরোপুরি ভালো হইনি। আমার বিষয়টি বিএমএ দেখছে। বিএমএ’র সঙ্গে ম্যাক্স হাসপাতালের কথা হবে।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ম্যাক্স হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. লিয়াকত আলী বলেন, গত ১৫ মে তার জ্বর ও কাশি ছিলো। সে এন্টিবায়োটিক খেয়েছে কিন্তু কাশি কমেনি। তার ইনজেকশন লাগবে।

‘আমি তাকে বলেছি- তোমার কোভিড-১৯ নেগেটিভ এসেছে। তোমার তো হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার দরকার নেই। তুমি ইনজেকশন কেন দেবে? তুমি অন্য কনসালটেন্টের সঙ্গে কথা বলো। পরে সে বললো ঠিক আছে, আমি আপনাকে জানাবো। তার যে শ্বাসকষ্ট হচ্ছে- তা সে একবারও আমাকে বলেনি।’

তিনি বলেন, সে আমাদের শেয়ার হোল্ডার, আমাদের এখানের কনসালটেন্ট। চমেক হাসপাতাল থেকে ভালো হয়ে যাওয়ার পর হঠাৎ করে সে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছে। তার সঙ্গে আমি কথা বলবো।’


সর্বশেষ সংবাদ
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল হাজারী।   ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: গোলাম কিবরীয়া হাজারী বিটু্।   প্রকাশক: মোঃ ইব্রাহিম পাটোয়ারী।
সহ সম্পাদক- রুবেল হাসান: ০১৮৩২৯৯২৪১২।  বার্তা সম্পাদক : জসীম উদ্দিন : ০১৭২৪১২৭৫১৬।  সার্কুলেশন ম্যানেজার : আরিফ হোসেন জয়, মোবাইল ঃ ০১৮৪০০৯৮৫২১।  রিপোর্টার: ইফাত হোসেন চৌধুরী: ০১৬৭৭১৫০২৮৭।  রিপোর্টার: নাসির উদ্দিন হাজারী পিটু: ০১৯৭৮৭৬৯৭৪৭।  মফস্বল সম্পাদক: রাসেল: মোবা:০১৭১১০৩২২৪৭   প্রকাশক কর্তৃক ফ্ল্যাট নং- এস-১, জেএমসি টাওয়ার, বাড়ি নং-১৮, রোড নং-১৩ (নতুন), সোবহানবাগ, ধানমন্ডি, ঢাকা থেকে প্রকাশিত এবং সিটি প্রেস, ইত্তেফাক ভবন, ১/আর কে মিশন রোড, ঢাকা-১২০৩ থেকে মুদ্রিত।  বার্তা, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ০২-৪১০২০০৬৪।  ই-মেইল : [email protected], web : www.hazarikapratidin.com
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি