শিরোনাম: |
মুসলিম-বিদ্বেষের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষক ভারত
|
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ভারতে ইসলামোফোবিয়া বা মুসলিম-বিদ্বেষকে সরাসরি রাষ্ট্রীয়ভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। শুক্রবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বক্তব্যের সময় এ অভিযোগ করেন তিনি। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে এবছর ভার্চ্যুয়াল পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে জাতিসংঘের সম্মেলন। সেখানে রেকর্ড করা বক্তব্যে ইমরান খান বলেন, ‘অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলছি যে, আজ বিশ্বের একমাত্র দেশ যেখানে রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলামোফোবিয়ার পৃষ্ঠপোষকতা করা হচ্ছে, সেটি ভারত। এর কারণ হচ্ছে, দুর্ভাগ্যজনকভাবে আজ আরএসএসের (উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন) আদর্শ ভারত শাসন করছে। তারা বিশ্বাস করে, ভারত শুধু হিন্দুদের জন্য, অন্যরা সমান নাগরিক নয়।’ গত আগস্টে ভারতশাসিত জম্মু-কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন বিলুপ্ত করায় এর আগেও ভারত সরকারের কঠোর সমালোচনা করেছেন পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী। তবে কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দিয়ে পাকিস্তান সরাসরি সহায়তা করছে বলে অভিযোগ রয়েছে ভারতের। যদিও বরাবরই এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে পাকিস্তান। এ বিষয়ে জাতিসংঘে ইমরান খান বলেন, ‘আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে জম্মু-কাশ্মীরের বিরোধ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত দক্ষিণ এশিয়ায় স্থায়ী শান্তি ও স্থিতিশীলতা আসবে না।’ এ জন্য ভারত সরকারের গত ৫ আগস্টের সিদ্ধান্ত বাতিল করে সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। বিশ্বের অন্যতম সেনা অধ্যুষিত এলাকা কাশ্মীরে ভারতীয় নিরাপত্তাবাহিনীর বিরুদ্ধে হাজার হাজার তরুণকে আটক, বেআইনি অভিযান, অবৈধ নির্যাতনসহ বেশ কিছু গুরুতর অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। গত মার্চ পর্যন্ত টানা সাত মাস পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছিল অঞ্চলটিকে। বন্ধ ছিল ইন্টারনেটসহ সবধরনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে নীতি লঙ্ঘনের এসব গুরুতর ঘটনা অবশ্যই তদন্ত করতে হবে। এছাড়া, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত ভারতীয় বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাদের বিচার হওয়া উচিত।’ ভারতের পাশাপাশি গোটা বিশ্বে মুসলিমদের ওপর নির্যাতন ও ইসলামবিদ্বেষের প্রচারণা বন্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। সূত্র: আল জাজিরা |