শিরোনাম: |
ম্যাচ সেরা হলে মা সারারাত কথা বলতো: রশিদ
|
ক্রীড়া ডেস্ক ॥
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) তৃতীয় ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে পরিচিত মেজাজে ফিরেছেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদ স্পিনার রশিদ খান। ৪ ওভারে মাত্র ১৪ রানের বিনিময়ে তুলে নেন শিখর ধাওয়ান, শ্রেয়াস আইয়ার ও ঋষভ পান্তের মূল্যবান উইকেট। স্বাভাবিকভাবেই এমন অনবদ্য পারফর্ম্যান্সের স্বীকৃতিও পেয়েছেন রশিদ। ম্যান অফ দ্যা ম্যাচের পুরস্কার উঠেছে তার হাতে। পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে সঙ্গত কারণেই নিজের পারফর্ম্যান্স নিয়ে খুশি প্রকাশ করেন রশিদ। তবে খুশির থেকেও বেশি যন্ত্রণা ঝরে পড়ে তারকা স্পিনারের গলায়। আসলে গত দেড় বছরে নিজের বাব-মাকে হারিয়েছেন রশিদ। বিশেষ করে ৩-৪ মাস আগে মাতৃবিয়োগের যন্ত্রণা এখনো টাটকা রশিদের মনে। তার খেলার সব থেকে বড় ভক্ত মায়ের কাছ থেকে আর ম্যাচের শেষে কখনো ফোন আসবে না, এই বিষয়টাই মেনে নেওয়া কঠিন রশিদের। ম্যাচের সেরার পুরস্কার নেওয়ার সময় তাই আবেগপ্রবণ শোনায় রশিদকে। তিনি বলেন, গত দেড় বছর আমার কাছে খুব কঠিন সময় কেটেছে। প্রথমে আমার বাবা এবং ৩-৪ মাস আগে আমার মা মারা গিয়েছেন। আমার এই পারফর্ম্যান্স, আমার এই ম্যান অফ দ্যা ম্যাচের ট্রফি তাদের উৎসর্গ করছি। দেড় বছরের এই ধাক্কা সামলে ক্রিকেটে ফেরা কঠিন ছিল। মা আমার ক্রিকেটের সব থেকে বড় অনুরাগী ছিলেন। আইপিএলেরও বড় ভক্ত ছিলেন। উনি সবসময় আমার খেলা দেখতেন। আমার উইকেট নেওয়া উপভোগ করতেন। যখনই আমি ম্যান অফ দ্যা ম্যাচের পুরস্কার পেতাম, সারারাত আমার সঙ্গে কথা বলতেন। এগুলো আমি খুব মিস করছি। তাদের স্মৃতি সবসময় আমার সঙ্গে রয়েছে। |