শিরোনাম: |
পৌনে ৪ কোটি টাকা আত্মসাত চারজনের কারাদন্ড
|
![]() পৌনে চার কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় এবি ব্যাংক লি. এর তিন কর্মকর্তাসহ চারজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (২৮ অক্টোবর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ রায় ঘোষণা করেন। দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মেসার্স ওয়ান থ্রেড অ্যান্ড একসেসরিজ ও বুশরা এসোসিয়েটস’র মালিক খন্দকার মেহমুদ আলম (নাদিম), মতিঝিল এবি ব্যাংক লি. কর্পোরেট শাখার সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও শাখা ব্যবস্থাপক আবু সালেহ মো. আব্দুল মাজেদ, মহাখালী এবি ব্যাংক লি. কর্পোরেট শাখার সিনিয়র সাবেক সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ব্যবস্থাপক এএলএম বদিউজ্জামান এবং একই শাখার সাবেক প্রিন্সিপাল অফিসার ফারুক আহাম্মেদ ভূঁইয়া। খন্দকার মেহমুদ আলমকে দুদক আইনের ৪০৯ ধারায় ৮ বছরের কারাদন্ড, দুই কোটি টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। ৪৬৮ ধারায় চার বছরের কারাদন্ড, পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। ৪৭১ ধারায় এক বছরের কারাদন্ড, ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। বিভিন্ন ধারার সাজা একসাথে চলবে বলে জানিয়েছেন আদালত। আবু সালেহ মো. আব্দুল মাজেদকে ৫ (২) ধারায় সাত বছরের কারাদন্ড, এক কোটি টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর কারাভোগ করতে হবে। এ এল এম বদিউজ্জামান এবং ফারুক আহাম্মেদ ভূঁইয়াকে ৫ (২) ধারায় পাঁচ বছরের কারাদন্ড, ৪০ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর কারাভোগ করতে হবে। আসামিরা পলাতক থাকায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাসহ সাজা পরোয়ানা জারি করেছেন। ৩ কোটি ৭৮ লাখ ৮৮ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৫ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মতিঝিল থানায় মামলাটি দায়ের করেন দুদক পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলী। একই ব্যক্তি মামলাটি তদন্ত করে ২০১৬ সালের ২১ জানুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি মামলাটির চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলাটির বিচার চলাকালে আদালত চার্জশিটভুক্ত ১৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। |