শিরোনাম: |
ভেজাল সার-বীজে সয়লাব বাজার
হাজারিকা অনলাইন ডেস্ক
|
সার ও বীজ নিয়ে চরম বিপদে পড়েছে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলা কৃষকেরা। তাদের অভিযোগ, চলতি মৌসুমের আবাদের শুরুতেই ভেজাল সার ও বীজে সয়লাব হয়ে গেছে সৈয়দপুরের বাজার। তারা জানান, প্রায় প্রত্যেক সার ও কীটনাশকের দোকানে বিক্রি হচ্ছে নামি-বেনামি নানা কোম্পানির মোড়কের নকল ও ভেজাল সার। পাশাপাশি একইভাবে প্যাকেটজাত বীজও অত্যন্ত নিম্নমানের এবং অনেক ক্ষেত্রে একেবারেই মানহীন। ফলে কৃষকরা মারাত্মকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। এক্ষেত্রে কিছু কিছু দোকানি নিজেরাই নকল প্যাকেটজাত করছে আবার অনেকে অধিক লাভের আশায় বিভিন্ন ভেজাল কোম্পানির সরবরাহকৃত নিম্নমানের বীজ বিক্রি করছে। তারা কৃষককে জেনে বুঝেই ঠকাচ্ছে।
একইভাবে তাদের ভেজাল সার প্যাকেটজাত হচ্ছে শহরের বিভিন্ন স্থানে। যা উপজেলা কৃষি অফিসের নজরদারিতেই ঘটছে বলে অভিযোগ কৃষকদের। ভেজাল সার ও বীজ প্যাকেট ও বাজারজাত নিরোধে দায়িত্বপ্রাপ্ত মাঠকর্মী এসব দেখেও না দেখার ভান করছেন বলেও জানান কৃষকরা। তিনি দীর্ঘদিন এই উপজেলায় কর্মরত থাকায় ওইসব কোম্পানি ও ব্যক্তির সঙ্গে সখ্যতা গড়ে ওঠায় তদারকির ক্ষেত্রে গাফিলতি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ কারণেই দিন দিন ভেজালকারীরা অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে। যার খেসারত দিতে হচ্ছে কৃষকদের। উপজেলার খাতামধুপুর ইউনিয়নের আব্দুর রহিম নামে এক কৃষক জানান, তিনি গত মাসের প্রথম সপ্তাহে সৈয়দপুর শহরের একটি দোকান থেকে ধানের বীজ এনে চারা করার জন্য জমিতে ছিটিয়েছিলেন। কিন্তু এখনও তা সঠিকভাবে গাজায়নি। তিনি বলেন, ‘মাঝে মাঝে কিছু কিছু গাছ বের হলেও অধিকাংশই নষ্ট হয়ে গেছে। এতে আমি অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।’ একইভাবে আরও অনেক কৃষক তাদের ক্ষতির কথা জানিয়েছেন। তারা জানান, সৈয়দপুরে ভেজাল সার ও বীজ বিক্রয়কারীদের একটি সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। এই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে উপজেলা কৃষি বিভাগকে ম্যানেজ করা হচ্ছে বলেও কানাঘুষা রয়েছে। এদিকে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহিনা বেগমের ফোন নম্বরে বার বার কল করেও তিনি রিসিভ না করায় এ বিষয়ে তার মন্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। |