শিরোনাম: |
অ্যাথলেট সোহেলকে হত্যার হুমকিদাতা মোশাররফ গ্রেফতার
|
স্টাফ রিপোর্টার:
জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে আন্তর্জাতিক স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত অ্যাথলেট মো. সোহেল রানাকে হত্যার হুমকি দেয়া প্রধান আসামি মোশাররফ হোসেনকে (৫৩) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে ময়মনসিংহ মহানগরীর সাবরেজিস্ট্রি অফিস এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার মোশাররফ হোসেন সদর উপজেলার সিরতা ইউনিয়নের চড় খরিচা গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করে ময়মননসিংহের কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশের উপপরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কবির হোসেন বলেন, আসামি মোশাররফ হোসেন পুলিশ হেফাজতে আছে। তাকে আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। এর আগে গত শুক্রবার (২০ নভেম্বর) ‘স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত অ্যাথলেট সোহেলকে হত্যার হুমকি’ শিরোনামে জাগো নিউজে সংবাদ প্রকাশিত হয়। বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসলে সোমবার মামলার প্রধান আসামি মোশাররফকে হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। অ্যাথলেট মো. সোহেল রানা বলেন, প্রতিনিয়তই একটা হুমকির মধ্যে ছিলাম, কখন যেন হামলা করে। এখন একটু স্বস্তিতে আছি। মোশাররফকে গ্রেফতার করায় পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান তিনি। জানা গেছে, অ্যাথলেট সোহেল ১২ বছর বয়সে বিকেএসপিতে ভর্তি হন। ২০১৪ সালে ন্যাশনাল জুনিয়র অ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতায় দুটি স্বর্ণপদক ও একটি ব্রোঞ্জ পদক, ২০১৫ সালে তিনটি স্বর্ণপদক ও দুটি সিলভার পদক, ২০১৬ সালে দুটি স্বর্ণপদক ও একটি সিলভার, ২০১৭ সালে তিনটি স্বর্ণপদক ও একটি সিলভার পদক, ২০১৮ সালে তিনটি স্বর্ণপদক ও দুটি সিলভার পদক লাভ করেন। এ ছাড়াও তিনি ইন্টারন্যাশনাল অ্যাথলেটিকস অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত ২০১৯ সালের এশিয়ান জুনিয়র গেমস হংকংয়ে সফলতার সঙ্গে অংশগ্রহণ করেন। ২০১৯ ভারতে আয়োজিত এসিএবি কাপ অ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে একটি স্বর্ণ ও একটি রোপ্য পদক লাভ করেন। অ্যাথলেট সোহেল রানা সদর উপজেলার সিরতা ইউনিয়নের চড় খরিচা গ্রামের মো. আব্দুল জলিলের ছেলে। অ্যাথলেট সোহেল বলেন, গত ২২ বছর ধরে চড় খরিচা বাজারে ২২ শতাংশ জমি আমরা ভোগ দখল করে আসছি। সম্প্রতি একই এলাকার মৃত আইন উদ্দিনের ছেলে সাজু নিজেকে জমির অংশীদার দাবি করেন। এমতাবস্তায় গত ১৬ নভেম্বর জমিতে দোকান তৈরির কাজ করতে গেলে তৃতীয় পক্ষ সন্ত্রাসী মোশাররফ হোসেন তার দলবল নিয়ে দোকান তৈরির কাজে বাধা দেন। বিষয়টি ময়মনসিংহের কোতোয়ালী থানায় জানানো হলে পুলিশ এসে মোশাররফ ও তার লোকজনকে বুঝিয়ে পাঠিয়ে দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চলে যাওয়ার পর মোশাররফ হোসেন ২০/২২ জনের একটি দল নিয়ে দেশীয় অস্ত্রসহ আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমিসহ আমার তিন ভাইকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে স্থানীয়রা আমাদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) বাড়িতে ফিরে আসি। এ ঘটনায় (১৬ নভেম্বর) রাতে আমার ভাই শাহ আলম বাদী হয়ে মোশাররফকে প্রধান আসামি করে ১০ জনের বিরুদ্ধে কোতোয়ালী থানায় মামলা করেন। মামলা করার পর থেকে একের একের এক আমাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে আসামিরা। বিশেষ করে আমাকেই ওরা টার্গেট করেছে। |