শিরোনাম: |
হত্যার পর মায়ের বস্তাবন্দি লাশ পানিতে ফেলল ছেলে
|
![]() কুষ্টিয়ার মিরপুরে মাকে হত্যার পর বস্তাবন্দি করে পানিতে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। নিখোঁজের ৩১ দিন পর ওই মায়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে কুষ্টিয়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ ঘটনায় নিহত ওই নারীর ভাই ভেড়ামারা উপজেলার ক্ষেমিড়দিয়াড় গ্রামের তুরাব আলী (৬৭) বাদী হয়ে আজ বুধবার মিরপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন, যার মামলা নং-২১। ওই মামলায় নিহতের ছেলে মুন্না বাবু, তার বন্ধু রাব্বী আলামীন ও দেবর আব্দুল কাদের বিশ্বাসকে (৫০) আসামি করা হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার বিকাল ৪টার দিকে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ ইউনিয়নের দক্ষিণকাটদহ এলাকার একটি পুকুর থেকে ওই মায়ের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত মায়ের নাম মমতাজ বেগম (৫৫)। তিনি একই এলাকার মৃত ফজল বিশ্বাসের স্ত্রী। এ ঘটনায় হত্যার দায়ে মমতাজ বেগমের ছেলে মুন্নাকে (২৮) আটক করেছে পুলিশ। স্থানীয় ইউপি সদস্য আমিরুল ইসলাম সান্টু জানান, তিন মেয়ের বিয়ে এবং স্বামী ফজল বিশ্বাসের মৃত্যুর পর ছোট ছেলে মুন্নাকে নিয়ে মিরপুর উপজেলার দক্ষিণকাটদহ এলাকায় বসবাস করতেন মমতাজ বেগম। গত ২৪ ডিসেম্বর থেকে মমতাজ বেগম নিখোঁজ ছিলেন। গত সোমবার পোড়াদহ ইউনিয়নের দক্ষিণ কাটদহ এলাকার ইয়াসিনের ছেলে রাব্বিকে (২৮) আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় মৃত ওই নারীর ভাই তুরাব আলী (৬৭) বাদী হয়ে বুধবার ছেলে মুন্না বাবু, তার বন্ধু রাব্বী আলামীন ও দেবর আব্দুল কাদের বিশ্বাসের (৫০) বিরুদ্ধে মিরপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। পরে মঙ্গলবার পুকুর থেকে বস্তাবন্দি ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় মমতাজের ছেলে মুন্নাকে আটক করা হয়েছে। কুষ্টিয়া ডিবি পুলিশের ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, মূলত কী কারণে এমন হত্যাকা- ঘটেছে তা প্রেস ব্রিফিং করে জানানো হবে। পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। |