শিরোনাম: |
গোপালগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি,
|
![]() নিহতরা হলেন- ঢাকা বারডেম হাসপাতালের চিকিৎসক ও গোপালগঞ্জ শহরের বটতলা এলাকার প্রফুল্ল কুমার সাহার ছেলে ডা. বাসুদেব কুমার সাহা (৫২), তার স্ত্রী শিবানী সাহা (৪৮), ছেলে আহসান উল্লাহ প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইইই বিভাগের শিক্ষার্থী স্বপ্নীল সাহা (১৯), প্রাইভেটকারচালক আজিজুর ইসলাম (৪৪), কাশিয়ানী উপজেলার দক্ষিণ ফুকরা গ্রামের পিয়ার আলী মোল্যার ছেলে ফিরোজ মোল্যা (৪৮), তার স্ত্রী রুমা বেগম ( ৪০) এবং ওই গ্রামের জিন্দার ফকিরের ছেলে অনিক মিয়া (২৮) অনিকের নববিবাহিত স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার (১৯)। এছাড়া নিহত একজনের পরিচয় জানা যায়নি। পুলিশ জানায়, কাশিয়ানি উপজেলার দক্ষিণ ফুকরা এলাকায় স্থানীয় লোকজন মহাসড়কের উপর ধান মাড়াই করছিল। এসময় রাজিব পরিবহনের একটি বাস-প্রাইভেটকার-ধানভাঙা মাড়াইকল ও মোটরসাইকেলের চতুর্মুখী সংঘর্ষ হয়। এ সময় ঘটনাস্থলেই ডা. বাসুদেব সাহা, তার স্ত্রী ও সন্তানসহ সাতজন নিহত হন। আহত হন অন্তত ২৫ জন। পরে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও স্থানীয়রা আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুজনের মৃত্যু হয়। আহত ২৫ জনের মধ্যে ১৯ জনের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন- গোপালগঞ্জের দিদার শরীফ (৫০), সোবাহান (৩৮), রুমা (৩০), মাসুম মোল্লা (১৩), ইসমত আরা (৪০) , আলিফ (৫), সিফাত (৩), নড়াইলের বাদল (২৫), বায়েজিদ (১২), মারুফ (২২), ঢাকার আরজু বেগম (৩৫), ফারুক হোসেন (৫০), হিরা বেগম (৩৬), হাওয়া বেগম (৩৪), হোসাইন (১২), আব্দুর রহমান (৫), পিরোজপুরে কালাম মোল্যা (৪৭), কামরুল (৪৬), শরীয়তপুরের জোহরা (৭৫)। চিকিৎসকরা জানান, আহত কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। খবর শুনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা, পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দিকা ও ফায়ার সার্ভিস, কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। দুর্ঘটনার পর ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে প্রায় এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা জানান, মহাসড়কে ধান মাড়াই ও যানবাহনের দ্রুতগতির কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। নিহত ও আহতদের উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহতদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা দেওয়ার জন্য চিকিৎসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। |