শিরোনাম: |
হাজারীর আত্মজীবনী (পর্ব-১০৫)
|
শহীদ সেলিনা পারভিনের স্বামী পরিচয়ে
বঙ্গবন্ধুর কাছে জাহাঙ্গীর খণ্ডলির অর্থলাভ শহীদ বুদ্ধিজীবিদের মধ্যে একমাত্র মহিলা সেলিনা পারভিন। এই মহিলা ফেনীর মেয়ে, নাজির রোডের তোতা মিঞার বোন। সেলিনা প্রগতিশীল লেখিকা ছিলেন। প্রথম জীবনে সেলিনার সঙ্গে চিথলিয়ার চন্দনা গ্রামের জাহাঙ্গীর খন্ডলির বিয়ে হয়েছিল। এই বিয়েটা ছিল অসম, জাহাঙ্গীরের সঙ্গে সেলিনার কোনো তুলনাই হতো না। কিছুদিনের মধ্যেই এই বিয়ে ভেঙে যায়। একদিন আমি বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা করার জন্য ধানমন্ডি গেলাম, নিচের তলায় হল রুমে ঢুকেই দেখি বঙ্গবন্ধু কাকে যেন জড়িয়ে ধরে আছে। তার চোখে তখন পানি। কাছে গিয়ে দেখি জাহাঙ্গীর খন্ডলিকেই জড়িয়ে ধরে বঙ্গবন্ধু কাঁদছেন। আমি আশেপাশে দু-একজনকে জিজ্ঞেস করি ব্যাপার কি জাহাঙ্গীর খন্ডলীর কি হয়েছে? একজন বলে সেনাবাহিনী তার বৌটাকে মেরে ফেলেছে। কোথায় আমরা তো শুনিনি। সবাই জানে পাকবাহিনী ডিসেম্বর মাসে সেলিনা পারভীনকে হত্যা করেছে আর আপনি জানেন না? আমি বলি তাতো জানি না, কিন্তু জাহাঙ্গীরের বৌকে কখন হত্যা করেছে? ওরা বলে এত জাহাঙ্গীরের বউ। আসলে জাহাঙ্গীরের সাথে ২০ বছর আগে সেলিনার ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে। তবুও কান্নাকাটি করে জাহাঙ্গীর বঙ্গবন্ধুর কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা নিয়েছিল। তোতা মিঞাকেও আমি দুই হাজার টাকা নিয়ে দেই। হাবিবুল্লাহ বাহারকেও নিয়ে ফেনীর মানুষে গর্ব করতে পারে। ১৯৬৪ সনে যুক্তফ্রন্টের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হয়ে সফলভাবে মশা নিধন করে সারাদেশে বিখ্যাত হয়েছিলেন। জহির রায়হান, শহীদুল্লাহ কায়সার আমাদের চোখের মণি। এদের দুজনকে হানাদার বাহিনীর দোসরা মুক্তিযুদ্ধের শেষ দিকে হত্যা করেছিল। |