শুক্রবার, ২৯ মার্চ, 2০২4
প্রধানমন্ত্রীর কাছে করুণ আকুতি, অথর্ব্য মন্ত্রী কর্মকর্তাদের বিদায় করে যোগ্যদের দায়িত্ব দিন
পীর হাবিবুর রহমান
Published : Friday, 10 April, 2020 at 9:48 AM

লড়াইটা ডাক্তারকেই করতে হবে। নার্সদেরই করতে হবে। টেকনোলজিস্ট থেকে রক্ত সংগ্রহকারী হাসপাতালের কমিটিও। চিকিৎসকরাই নেতৃত্ব দিবেন। পৃথিবীজুড়ে ডাক্তার নার্স থেকে অ্যাম্বুলেন্স চালক, এক কথায় চিকিৎসা সেবায় জড়িত কর্মীরাই লড়ছেন। ইতালি থেকে আমেরিকা প্রতিটা আক্রান্ত দেশে লড়তে লড়তে ক্লান্ত অবসন্ন দেহে চিকিৎসক, নার্সরা হাসপাতালের মেঝেতে একজনের গায়ে আরেকজন শুয়ে পড়ছে। টানা ১৫/১৬ ঘণ্টার লড়াই। দুই পায়ের ওপর নাওয়া খাওয়া ছেড়ে লড়ছে।
করোনার ভয়াবহতার মুখে মানুষ বাঁচানোর লড়াই। নিজের জীবনকে শতকরা একশো ভাগ ঝুঁকিতে দিয়ে লড়ছে। পরিবার পরিজন সন্তান প্রিয়জন সব ভুলে! মানবসেবার ধর্মের অগ্নি পরীক্ষায় আজ মহাবিপর্যয়ের পৃথিবীতে তারা বীরত্বের নায়কোচিত আদর্শ হয়ে উঠেছেন। অনেকে লড়াইয়ে ভয়ঙ্কর ছোয়াঁচে জীবাণু করোনার ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছেন। তবু সতীর্থরা দমে যাননি। লড়ছেন অদম্য মনোবলে সর্বোচ্চ সেবা দিয়ে।

করোনার মহাপ্রলয়ে পৃথিবী এখন মৃত্যুর অসহনীয় যন্ত্রণা ভোগ করছে। পৃথিবীজুড়ে কান্না আর লাশের মিছিল! লাশ রাখার জায়গা নেই। এমন মর্মান্তিক মৃত্যু যেনো প্রিয়জনের মৃত্যুতেও কান্নারও সুযোগ নেই। সন্তানের কাছে মা যায় না। দাফনে এতো আত্মীয় বন্ধু পরিচিতজন কেউ নাই! অপরিচতরাই শেষ বিদায় দিচ্ছেন। দমবন্ধ সময়ে ভয়ে বাকরুদ্ধ শোকস্তব্ধ পৃথিবী। বাংলাদেশও আক্রান্ত বিশ্ব মহামারিতে। এখানে চিকিৎসকদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিতর্ক হচ্ছে। দেশের সব হাসপাতাল-ক্লিনিকে মানুষ চিকিৎসা পাচ্ছে না এমন অভিযোগ দেশজুড়ে। চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে করোনার আক্রমণের মুখে পরিকল্পিত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে না পারায়। অভিযোগ পুরো সত্য নয়। অনেকে কাপুরুষের ভূমিকা রাখলেও সবাই নয়। আর নয় বলেই চিকিৎসক নার্সরা লড়াই করছেন। মৃত্যু ভয়কে তোয়াক্কা না করেই। সন্তানকে রেখে যখন বাইরে যান চিকিৎসক নার্সরা তারা জানেন বুকটা কেমন মোচড় দেয়।

এছাড়া আমরা শুরুতেই পরীক্ষার কিট, ল্যাব, পিপিই পর্যাপ্ত দিতে পারিনি। ভয় দিয়ে অপরিপক্ব মন্ত্রণালয় জয় করতে চেয়েছে। ভয় দিয়ে জয় সম্ভব নয়। মনে রাখতে হবে দেশের জনগণের টাকায় পড়াশোনা করা অনেক চিকিৎসক বিদেশে পাড়ি দিয়েছেন নিরাপদ জীবনের আশায়, দেশে থাকা চিকিৎসকরা এ বেঈমানি করেননি। অনেকে বলেন চিকিৎসকরা প্র্যাকটিসে এক রাতে ঘণ্টায় দু'শ রোগী দেখেন! আমাকে সেদিন একজন এমন কথা বলেন। আমি তখন বললাম বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অভাব দেখেছেন? তারা বাণিজ্য করেন নাকি পরিবার পরিজন ফেলে, ব্যক্তিগত জীবন বাদ দিয়ে সেবা করেন?

গানের অনুষ্ঠানে টিকেট কাটতে কৃপণতা নেই। চিকিৎসকের বেলায় কৃপণতা। বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এতো রোগী দেখতে চান না, সিরিয়াল নেই, আমরা তদবির করে দেখাই না? দেখাই। চাপ ফেলি। কসাই সবাই নয়। একাংশ, এদের কেউ কেউ, ডাকাতও। এদের মানবসেবার ধর্ম নেই। এরা দুর্নীতিবাজ, লুটেরা, যৌননিপীড়ক চিকিৎসক কর্মকর্তা। সব পেশায় এরকম আছে। কিন্তু প্রকৃত চিকিৎসকদের তাদের দলভুক্ত করলে, ভয় দেখালে তারাও দেশ ছেড়ে দেবে।
চিকিৎসকদের সংখ্যাগরিষ্টরা সেবা দেন মনুষের জীবন রক্ষার। দেশে ১৮ কোটি জনগণের চিকিৎসক মাত্র ১ লাখ। এরমধ্যে ৩০ হাজার সরকারি হলে বেসরকারি ৭০ হাজার। জিডিপির ১ ভাগ চিকিৎসা খাতে বরাদ্দ। এরমধ্যে সরকারি স্বাস্থ্যসেবার সঙ্গে জড়িত মন্ত্রী থেকে আমলা চিকিৎসক কর্মকর্তা কর্মচারীরা কি পরিমাণ দুর্নীতি করেছে ১১ বছরে দেশ দেখেছে। এমন নির্লজ্জ দেশদ্রোহীদের হাতে চিকিৎসা বরাদ্দ মানুষের সেবায় পুরোটা কাজে লাগেনি। স্বস্থ্য সচিব, অধিদফতর থেকে সিভিল সার্জন কার্যালয় হয়ে সরকারি হাসপাতালের কর্মচারীরা বিশাল অংশ দুর্নীতিতে অভিশপ্ত। শাস্তি হয়নি ওদের। আমরা প্রতিবাদ করবো কি ঘৃণাও করতে শিখিনি।

যাক করোনার ভয়াবহতায় আজকের বাংলাদেশ এখন কঠিন বিপর্যয়ের মুখে। আমরা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ভরসা নিয়ে লড়াই করছি, তার ভাষণে, ভিডিও কনফারেন্সে পরিণতি কি হবে সে সত্য বলার সাহস যেমন দেখিয়েছেন তেমনি আশা সাহস শক্তি যুগিয়েছেন। তার পরিকল্পনা প্রণোদনা উজ্জ্বীবিত করেছে। শেখ হাসিনার বর্তমান মন্ত্রিসভায় এমন একজন মন্ত্রীও নেই যার ওপর জনগণ কেনো তিনিই ভরসা রাখতে পারেন! বহুবার বলেছি দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী সরকার প্রধানের সবচেয়ে অথর্ব্য দুর্বল মন্ত্রিসভা। এসব মন্ত্রীদের ওপর মানুষের নূন্যতম আস্থা নেই।

৭৫ পরবর্তী রাজনৈতিক ইতিহাসে সবচেয়ে সফল শক্তিশালী রাজনৈতিক সরকার ছিল ৯৬ সালে শেখ হাসিনার সরকার। আব্দুস সামাদ আজাদ সিনিয়র মন্ত্রী তারপর কিবরিয়া, আমু, রাজ্জাক, তোফায়েল, জলিল, মতিয়ারা তো ছিলেনই। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়েও রাজনীতি সম্পৃক্ত তার স্টাফরা ছিলেন সক্রিয়। ক্রাইসিস ম্যানেজারদের নিয়ে সামলেছেন রাজনৈতিক প্রাকৃতিক দুর্যোগ। ২০০৯ সালেও আনকোরা মন্ত্রিসভার সিনিয়র মন্ত্রী ছিলেন আবুল মাল আব্দুল মুহিত। রাজনীতি সম্পৃক্ত উপদেষ্টা ছিলেন ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, প্রফেসর আলাউদ্দিন আহমেদরা। ২০১৪ সালেও মুহিতের পর আমু, তোফায়েল, মতিয়া, মঞ্জু, আনিস, মেনন, ইনুরা ছিলেন। সবচেয়ে খারাপ ব্যর্থ অথর্ব্য মন্ত্রিসভা এবার। শেখ হাসিনার পর আর কোথাও যেনো কেউ নেই। ক্রাইসিস ম্যানেজার শেখ হাসিনা ছাড়া কেউ নেই। আমু, তোফায়েল, মতিয়ারা ঘরে। ১৪ দল, মহাজোটের কেউ নেই মন্ত্রিসভায়! শেখ হাসিনায় কেবল ভরসা জনগণের, মন্ত্রীতে এলার্জি বেসুমার। জাতি শেখ হাসিনার পেছনে ঐক্যবদ্ধ। কাজে লাগাবার দক্ষ মন্ত্রী স্টাফ তার পাশে নেই। মন্ত্রিসভার অর্ধেক ব্যবসায়ী। তাদের ব্যবসা বাণিজ্যের স্বার্থ আগে। তাও যে যে ব্যবসায় জড়িত। রাজনীতি জনগণ তাদের অগ্রাধিকারে নেই। ৭৫ পরবর্তী সংকটে লড়াকু রাজনীতিবিদরা নেই কোথাও দায়িত্বে। ২০০১ সাল থেকে যারা পাশে ছিলেন লড়েছেন তারাও নেই। সেই ধারায় যারা ওয়ান ইলেভেনেও কাছে ছিলেন তারাও নেই! কেনো? যাক সে হিসেব পরে।

বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার কাছে করুণ আকুতি আজ জাতির এ দুঃসময়ে করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে জনগণের বিজয় অনিবার্য করতে আজ প্রথমেই ব্যর্থ স্বাস্থ্যমন্ত্রী, বাণিজ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে সরিয়ে অভিজ্ঞ রাজনৈতিক শক্তিশালী সৎ দক্ষদের হাতে নেতৃত্ব দিন। মন্ত্রিসভায় পরিবর্তন আনুন। মহাজোটের সরকার করুন। পারলে জাতীয় সরকার। ব্যর্থদের বিদায় দিন। মন্ত্রিসভা ঢেলে সাজান। দুঃসময়ের পাশে থাকাদের ডেকে কাজে লাগান। সরকারি বেসরকারি চিকিৎসা খাতকে সমন্বয় করুন। আপনার নেতৃত্বে জাতীয় দুর্যোগ প্রতিরোধ কমিটি বা টাস্কফোর্স গঠন করুন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার প্রস্তাব কি বিবেচনা করবেন? করোনা মহামারি আঘাত এনেছে। আক্রান্ত মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। বাড়ছে সর্দি জ্বরে মৃত্যুর খবর। করোনার মহাপির্যয় আসতে বেশি দিন লাগে না। এই মুহূর্তের করণীয় বলে যা মনে হয় তাই প্রস্তাব করছি।

১. বিশেষজ্ঞসহ সবাইকে নিয়ে অবিলম্বে যুদ্ধকালীন টাস্কফোর্স বা জাতীয় দুর্যোগ প্রতিরোধ কমিটি গঠন করুন। হোয়াইট হাউসের আদলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে রাউন্ড দ্য ক্লক এটি সচল থাকবে। প্রতিদিন সন্ধ্যায় টাস্কফোর্স সকল কর্মকাণ্ড মিডিয়ার সামনে ব্যাখ্যা করবেন।

২. হাসপাতাল, জরুরি পরিষেবা, ফার্মেসী বাদ দিয়ে সবকিছু লকডাউন করতে হবে। মক্কা-মদিনার ন্যায় সব উপাসনাগৃহ পুরোপুরি বন্ধ রাখতে হবে।

৩. জরুরী পণ্য পরিবহন ব্যতীত সকল পথে যোগাযোগ বন্ধ রাখতে হবে।

৪. অথর্ব্য মন্ত্রী কর্মকর্তাদের সরিয়ে যোগ্য দক্ষ অভিজ্ঞ লোক নিয়োগ দিতে হবে।

৫. অবিলম্বে কমপক্ষে ১০,০০০ ভেন্টিলেটর আমদানির ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সারাদেশে কমপক্ষে ১০,০০০ আইসিইউ বেড তৈরির জরুরি উদ্যোগ নিতে হবে।

৬. বেসরকারি হাসপাতালসহ সব টারসিয়ারী হাসপাতালে কোভিড কিট সরবরাহ করতে হবে।

৭. সব হাসপাতালকে কোভিড এবং নন-কোভিড এই দুই ভাগে ভাগ করতে হবে। জরুরি বিভাগে নির্দিষ্ট ট্রায়াজ সৃষ্টি করে সন্দেহজনক রোগীকে সেখানে রেখে দ্রুত গতির পরীক্ষার মাধ্যমে (গণস্বাস্থ্য/এ্যাবোট) রোগ নির্ণয় করে যথাস্থানে রোগীকে পাঠাতে হবে।

৮. আপনার স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নিয়োগ দিন দলমতের ঊর্ধ্বে।

৯. জরুরি বিভাগ/ট্রায়াজ/আইসিইউ প্রভৃতি জায়গায় পূর্ণ পিপিই (full set PPE) সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। অন্যান্য এরিয়ায় আংশিক পিপিই যথেষ্ট।

১০. স্বাস্থ্যকর্মীদের ৫০ লাখ থেকে ১ কোটি টাকার বীমা নিশ্চিত করতে হবে।

১১. সকল বেসরকারি হাসপাতালের বেডসমূহ একত্রিত করে সমন্বিত উদ্যোগে কোভিড ব্যবস্থাপনায় নিয়ে আসতে হবে। ভারতে এটা শুরু হয়েছে। পরবর্তী পরিস্থিতি বিবেচনা করে বসুন্ধরার প্রস্তাবিত অস্থায়ী হাসপাতাল তৈরির প্রস্তুতি দ্রুত নিতে হবে।

১১. চিকিৎসাকর্মীরা এই দেশের সন্তান। তাদের যথাযথ সম্মান দিয়ে এই যুদ্ধে জিততে হবে। করোনার যুদ্বে যারা মারা যাবে তাদের জাতীয় বীরের মর্যাদা দিতে হবে। পরিবারের দায় রাষ্ট্রকে নিতে হবে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আপনি বঙ্গবন্ধু কন্যা। জাতির আবেগ অনুভূতি জড়িয়ে আছে। আপনার রক্তে যুদ্ধ আর বিজয়। পরাজয়ের গ্লানি নেই। জাতি আপনার নেতৃত্বে আজ এক। এ যুদ্ধে আপনাকে জয়ী হতেই হবে। আপনি জয়ী হলে দেশ জয়ী হয়। সকল সাপোর্ট দিয়ে চিকিৎসকদের লড়াইয়ে নামান। চিকিৎসার সকল সরঞ্জাম আনার ব্যবস্থা করুন। এ অসহায় সময়ে আপনিই জাতির পরম আশ্রয়ের ঠিকানা। আপনার নিরাপদ ছায়ায় জনগণ নিরাপদ থাক। ত্রাণের চাল যারা এসময় চুরি করে, ত্রাণের লোভ দেখিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে কঠোর শাস্তি তাদের দিন।

লেখক: নির্বাহী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন।

সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন


সর্বশেষ সংবাদ
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল হাজারী।   ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: গোলাম কিবরীয়া হাজারী বিটু্।   প্রকাশক: মোঃ ইব্রাহিম পাটোয়ারী।
সহ সম্পাদক- রুবেল হাসান: ০১৮৩২৯৯২৪১২।  বার্তা সম্পাদক : জসীম উদ্দিন : ০১৭২৪১২৭৫১৬।  সার্কুলেশন ম্যানেজার : আরিফ হোসেন জয়, মোবাইল ঃ ০১৮৪০০৯৮৫২১।  রিপোর্টার: ইফাত হোসেন চৌধুরী: ০১৬৭৭১৫০২৮৭।  রিপোর্টার: নাসির উদ্দিন হাজারী পিটু: ০১৯৭৮৭৬৯৭৪৭।  মফস্বল সম্পাদক: রাসেল: মোবা:০১৭১১০৩২২৪৭   প্রকাশক কর্তৃক ফ্ল্যাট নং- এস-১, জেএমসি টাওয়ার, বাড়ি নং-১৮, রোড নং-১৩ (নতুন), সোবহানবাগ, ধানমন্ডি, ঢাকা থেকে প্রকাশিত এবং সিটি প্রেস, ইত্তেফাক ভবন, ১/আর কে মিশন রোড, ঢাকা-১২০৩ থেকে মুদ্রিত।  বার্তা, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ০২-৪১০২০০৬৪।  ই-মেইল : [email protected], web : www.hazarikapratidin.com
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি