শুক্রবার, ২৯ মার্চ, 2০২4
মহাসড়কে বড় বড় গর্ত
হাজারিকা অনলাইন ডেস্ক
Published : Sunday, 9 August, 2020 at 10:37 AM, Update: 09.08.2020 10:38:01 AM

কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়কের ঝিনাইদহ থেকে কালীগঞ্জের দূরত্ব মাত্র ১৫ কিলোমিটার। কিন্তু এই ১৫ কিলোমিটারের মাঝে দুই কিলোমিটার রয়েছে চলাচলের উপযোগী। বাকি ১৩ কিলোমিটার পথচারীদের মহা ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেক স্থানে এতবড় গর্ত তৈরি হয়েছে যে, গর্তে পড়ে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। আর এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় মাঝে মধ্যে পিচ রাস্তায় ইটের সলিং করে আপাতত চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কুষ্টিয়া থেকে যশোর আর ঝিনাইদহ থেকে মাগুরা পর্যন্ত ঝিনাইদহ অংশে প্রায় ৭০ কিলোমিটার মহাসড়ক রয়েছে। এই মহাসড়কের ঝিানাইদহ থেকে কালীগঞ্জ পর্যন্ত বর্তমানে চলাচলের একেবারেই অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বেশিরভাগ স্থানে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কের ঝিনাইদহের হামদহ বাসস্ট্যান্ডের পর থেকে লাউদিয়া, চুটলিয়া, তেতুলতলা, বিষয়খালী, কয়ারগাছি, ছালাভরা, বেজপাড়া, খয়েরতলা, নিমতলা বাসস্ট্যান্ড, মেইন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিটুমিন (পিচ) আর পাথর উঠে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। সৃষ্ট গর্তের কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। সড়ক বিভাগ থেকে মাঝে মধ্যে সংস্কার করা হলেও সৃষ্টি হওয়া গর্তগুলো ভালো হচ্ছে না। সংস্কারের এক সপ্তাহের মধ্যেই আবার গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে। ওই সড়কে একাধিক গাড়ি চালকরা জানান, মাত্র ২০ মিনিটের পথ এখন ৪০ মিনিটেও যাওয়া যাচ্ছে না। সামান্য বৃষ্টি হলেই সড়কটির পিচ-পাথর উঠে গর্ত তৈরি হয়। তাছাড়া এই ভাঙাচুরা সড়কে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। অনেক স্থানেই গাড়ি নষ্ট হয়ে পড়ে থাকছে। মাঝে মধ্যে নামমাত্র সংস্কার করা হচ্ছে, যা সপ্তাহ যেতে না যেতেই আবার আগের অবস্থায় ফিরে যাচ্ছে। সড়কটুকুতে সু-নজর নেই কর্তৃপক্ষের।

ওই সড়কে চলাচলকারী ট্রাকচালক আব্দুল আলিম জানান, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের একমাত্র যোগাযোগ হচ্ছে ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া-যশোর মহাসড়ক। যশোর বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে ঝিনাইদহের উপর দিয়ে উত্তরবঙ্গসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যানবাহন চলাচল করে। তিনি জানান, মোংলা নৌবন্দর থেকেও মালামাল নিয়ে ট্রাক চালকরা এ জেলার উপর দিয়েই উত্তরবঙ্গে যান। এছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ এই মহাসড়ক দিয়ে ঢাকা, রাজশাহী, ফরিদপুরসহ জাতীয় ও আঞ্চলিক বিভিন্ন রুটের যাত্রীবাহী বাসসহ পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল করে থাকে। কিন্তু সড়কটির ঝিনাইদহ থেকে কালীগঞ্জ পর্যন্ত ভেঙেচুরে যাওয়ায় অতিরিক্ত সময়ের পাশাপাশি ভোগান্তির শেষ নেই।

বাসচালক জামাল হোসেন জানান, খুবই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। বাসে যাত্রী নিয়ে হেলেদুলে পথ চলা যায় না। তারপরও উপায় না পেয়ে চলতে হচ্ছে। ভাঙাচুরা রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে গাড়ির অনেক ক্ষতি হচ্ছে। এতে সড়কে চলাচলকারী যানবাহনগুলো প্রতিনিয়ত বিকল হয়ে পড়ছে।
মোটরসাইকেলচালক আব্দুর রহমান জানান, তার বাড়ি জেলার শৈলকুপা উপজেলায়। তিনি পেশার প্রয়োজনে প্রায়ই কালীগঞ্জ, কোটচাঁদপুর ও মহেশপুর যেতে হয় তার। কিন্তু সড়কের বেহালদশার কারণে তিনি মহাসড়ক দিয়ে না গিয়ে গ্রামের মধ্যে দিয়ে চলাচল করেন।
এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জিয়াউল হায়দার জানান, এই সড়কটুকু নিয়ে তিনিও বিপদে আছেন। চেষ্টা করছিলেন পিএমপি প্রকল্পের আওতায় সড়কটুকু সংস্কারের। সে লক্ষ্যে উচ্চ পর্যায়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছেন। আশা করছেন দ্রুত সড়কটি সংস্কারে বরাদ্দ মিলবে। তবে আপাতত চলাচলের জন্য উপযোগী রাখতে ক্ষুদ্র মেরামত চলছে।
আরও খবর


সর্বশেষ সংবাদ
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল হাজারী।   ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: গোলাম কিবরীয়া হাজারী বিটু্।   প্রকাশক: মোঃ ইব্রাহিম পাটোয়ারী।
সহ সম্পাদক- রুবেল হাসান: ০১৮৩২৯৯২৪১২।  বার্তা সম্পাদক : জসীম উদ্দিন : ০১৭২৪১২৭৫১৬।  সার্কুলেশন ম্যানেজার : আরিফ হোসেন জয়, মোবাইল ঃ ০১৮৪০০৯৮৫২১।  রিপোর্টার: ইফাত হোসেন চৌধুরী: ০১৬৭৭১৫০২৮৭।  রিপোর্টার: নাসির উদ্দিন হাজারী পিটু: ০১৯৭৮৭৬৯৭৪৭।  মফস্বল সম্পাদক: রাসেল: মোবা:০১৭১১০৩২২৪৭   প্রকাশক কর্তৃক ফ্ল্যাট নং- এস-১, জেএমসি টাওয়ার, বাড়ি নং-১৮, রোড নং-১৩ (নতুন), সোবহানবাগ, ধানমন্ডি, ঢাকা থেকে প্রকাশিত এবং সিটি প্রেস, ইত্তেফাক ভবন, ১/আর কে মিশন রোড, ঢাকা-১২০৩ থেকে মুদ্রিত।  বার্তা, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ০২-৪১০২০০৬৪।  ই-মেইল : [email protected], web : www.hazarikapratidin.com
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি